একই নাম ও কোড ব্যবহার করে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগে বহুল আলোচিত সেই গায়েবি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন প্রকৃত ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।
রোববার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন সদর উপজেলার পূর্ব বেগুনবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম। তিনি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে মো. রেজাউল করিম জানান, ১৯৮১ সালে ‘নতুনপাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’ নামে মাদ্রাসাটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৯ সালে দাখিল শাখার স্বীকৃতি এবং ২০০২ সালে উভয় শাখা এমপিওভুক্ত হয়।
পরবর্তী সময়ে পুরোনো ইবতেদায়ী শিক্ষকদের দাখিল শাখায় স্থানান্তর ও নতুন নিয়োগের পরও পুরোনো ইবতেদায়ী কোড (৮০০৫০১২৯০৪) বাতিল হয়নি। এই সুযোগে একটি মহল মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একই নাম ও কোড ব্যবহার করে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।
রেজাউল করিমের অভিযোগ, শিক্ষানীতির বিধান অনুযায়ী নতুন ইবতেদায়ী প্রতিষ্ঠান ন্যূনতম দুই কিলোমিটার দূরত্বে স্থাপন করার নিয়ম থাকলেও তা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এতে মূল মাদ্রাসার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আইনি জটিলতার আশঙ্কা রয়েছে। ভূঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গত ২০ এপ্রিল বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকায় সেই গায়েবি মাদ্রাসায় অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের পর দুদক ঠাকুরগাঁও সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. আজমির শরিফ মারজী জানান, বাস্তবে প্রতিষ্ঠানটির কোনো অবকাঠামো নেই। ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হিসেবে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া চললেও, এমপিওভুক্তির জন্যও তদবির হচ্ছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উপস্থিতির খবর পেয়েই প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরের একটি কিন্ডারগার্টেন থেকে শিশুদের এনে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুদের হাজির করা হয়েছিল বলেও প্রমাণ মিলেছে।’