কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে এবারে রশুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে রশুনের ভালো দাম পেয়েও খুশি কৃষক। বিনা হাল-চাষে রশুনের আবাদে এ অঞ্চলে কৃষকের জীবন পাল্টে দিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে রশুনের আবাদ হচ্ছে।
বিশেষ করে উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের রাজারভিটা, পুটিমারী কাজলডাঙ্গা, হাটিথানা, মাঝস্থল রমনা ইউনিয়নের গুরুতিপাড়া, উত্তর রমনা, টোনগ্রাম ও পাত্রখাতা এলাকায় অন্যান্য ফসলের চাষ কমিয়ে রশুনের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষক।
এ আবাদে উৎপাদন খরচ কম লাভ বেশি। বন্যা কিংবা খরার ভয় নেই। আমন ধান কাঁটার পর কাঁদামাটিতে কোন প্রকার হাল-চাষ করা ছাড়াই রশুনের বীজ রোপন করেন কৃষকরা।
চলতি বছর বাজারে রশুনের দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক। সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার জোড়গাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মণ রশুন বিক্রি হচ্ছে ৩হাজার ৫শ থেকে ৩হাজার ৮শ টাকায়। রাজারভিটা এলাকার কৃষক কেরামত আলী জানান, ১ বিঘা জমিতে রশুন চাষ করে ঘরে তোলা পর্যন্ত ব্যয় হয় ৩০ হাজার টাকা।
ফলন ভালো হলে ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায় রশুন বিক্রি হয়। উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আখতারুজ্জামান জানান, এ অঞ্চলের কৃষি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছে এই মসলা জাতীয় ফলস।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, এ বছর ব্রহ্মপুত্র চরাঞ্চলে ২০ হেক্টর জমিতে রশুনের আবাদ হয়েছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। দামে কৃষক খুশি। অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন কৃষকরা।