নাটোরে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিঠে পারা দিয়ে শহর ঘুরানোর ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এরপর নবাব সিরাজউদৌল্লা সরকারি কলেজ (এনএস কলেজ) ছাত্রদলের কিমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কমিটি বিলুপ্ত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গির আরম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নাটোর জেলা শাখার অধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই কলেজ শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।’
কমিটি বিলুপ্তির ওই বিজ্ঞপ্তিটি গতকাল রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সাল হোসেনকে মারধরের পর অটোরিকশায় শুইয়ে জুতা পায়ে পিঠে পাড়া দিয়ে শহর ঘোরানোর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার দুপুরে নির্যাতিত ছাত্রলীগ কর্মীর বাবা খায়রুল আলম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় নাটোর এন এস সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জুবায়েরসহ নাটোর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাঈম ও সাধারণ সম্পাদক রিমন, ছাত্রদল নেতা নাঈম, পাইলট ও নিখিল আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে পাঁচ থেকে ছয়জনকে। তবে আসামিদের কাউকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নাটোর জেলা ছাত্রদল সূত্রে জানাগেছে, রোববার দুপুরে প্রকাশ্যে নাটোর শহরের কানাইখালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ কর্মী ফয়সাল হোসেনকে (২৫) শহরের প্রধান সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘোরানো হয়। ফয়সাল নাটোর শহরের কানাইখালি মহল্লার বাসিন্দা এবং নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী। তাকে যারা নির্যাতনকারী তরুণেরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মী। এঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনায় নবাব সিরাজউদ্দৌলা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি এস এম জুবায়েরসহ ছাত্রদলের পাঁচ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নজরে আসায় দ্রুত ঘটনাটি তদন্ত করা হয়। এরপর কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
নাটোর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীকে মারপিটের ঘটনায় এন এস কলেজ ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তাঁরা অবগত হয়েছেন। ছাত্রলীগের কর্মী ফয়সালকে নির্যাতন করা ঠিক হয়নি। সাংগঠনিকভাবে কেন্দ্রই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।