ফসলি মাঠে আপন মনে ঘুরছিল একটি বাগডাশ (গন্ধগোকুল)। স্থানীয় যুবকেরা প্রাণিটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখে আটকের চিন্তা করে। একপর্যায়ে জাল দিয়ে এটিকে আটক করা হয়। বন্দী করা হয় খাঁচায়। প্রাণিটিকে দেখতে ভিড় জমায় উৎসুখ মানুষ।
বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নাটারের লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের চাত্রার মাঠ থেকে গন্ধগোকুলটিকে আটক করা হয়।
স্থানীয় যুবক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গন্ধগোকুলটি অনেকক্ষণ ধরেই ফসলের খেতের আশাপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। যুবকেরা প্রাণিকে দেখতে পেয়ে মাছ ধরার জাল দিয়ে ফসলি জমি ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে গন্ধগোকুলটি মাছ ধরা ওই জালে আটকা পড়ে। আটক গন্ধগোকুলকে জাল থেকে বের করতে গিয়ে আঁচড়ে আহত হয়েছেন এক তরুণ। পরে প্রাণিটিকে গ্রামের যুবকেরা খাঁচাবন্দী করেন।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে তিনি গন্ধগোকুলটির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন। খরব দিয়ছেন রাজশাহী বিভাগীয় বন্য প্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে। বন্য প্রাণি বিভাগের লোকজন গন্ধগোকুলটিকে উদ্ধারের জন্য রওনা হয়েছেন। প্রাণিটিকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
রাজশাহী বিভাগীয় বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির জানান, বাগডাশ বা গন্ধগোকুলকে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) পৃথিবীর বিপন্নপ্রায় প্রাণীর তালিকাভুক্ত করেছে।
জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মী আরিফুল ইসলাম জানান, বাগডাশ বা গন্ধগোকুল নামের যে প্রাণিটি জালে আটকা পড়েছে এটি হিংস্র নয়। বিরক্ত না করলে এরা কারও ওপর আক্রমণ করে না। বিপন্নপ্রায় এ প্রাণীটি ফসলি মাঠে লুকিয়ে থাকে। ছোট ছোট প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে।