১৬ এপ্রিল, ২০২৫

উল্লাপাড়ায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

উল্লাপাড়ায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

উল্লাপাড়ায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

আহাদ হোসেন (১৬) নামের এক কিশোর ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষক আহাদ উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানার আলোকদিয়ার গ্রামের সাগর হোসেনের ছেলে।

১৫ এপ্রিল ধর্ষিতার বাবা মুকুল হোসেন বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় ধর্ষক আহাদসহ তিন জনের নাম একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

আজ বুধবার সকালে ধর্ষকের সহযোগী কামরুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে সলঙ্গা থানা পুলিশ। কামরুল উল্লাপাড়া উপজেলার পাঁচিলা গ্রামের আব্দুল হাই আকন্দের ছেলে এবং ধর্ষণ মামলার আসামী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা শিক্ষার্থী তার নানা বাড়ি থেকে পাঁচিলা বদরুল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। স্থানীয়ভাবে আহাদের সঙ্গে পরিচয় ছিলো ওই শিক্ষার্থীর। ঘটনার সময় আহাদ শিক্ষার্থীটিকে ফুসলিয়ে পাঁচিলা বাজার সংলগ্ন জহুরুল মার্কেটের একটি কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

শিক্ষার্থীর আর্ত চিৎকারে পাশর্^বর্তী লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতার পরিবার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এই হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সে আশংকামুক্ত। তবে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে এই ধর্ষিতা।

এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, ধর্ষিতার বাবা তার মামলায় আহাদসহ ৩ জনকে আসামী করেছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে আহাদের সহযোগী কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে। আহাদ পলাতক রয়েছে। পুলিশ আহাদসহ অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।