১৬ এপ্রিল, ২০২৫

চিলমারীতে নৌ-ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময়

চিলমারীতে নৌ-ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময়

কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী রৌমারী ও রাজিবপুর রুটে একাধিক নৌ-ডাকাতির ঘটনায় এই রুটের নৌ যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

এই ডাকাতি রোধে এবং যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলঢুষমারা থানায় বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার সকালে জেলার রাজীবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের আয়োজনে সচেতনতামুলক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় স্থানীয়রা জানান,  সোমবার ও শুক্রবার কামারজানি হাট এবং রবিবার ও বুধবার চিলমারীর জোড়গাছ হাট বসে। এই দিন গুলোতে পুলিশের টহল জোরদার করতে হবে। ঢুষমারা থানা ও মোহনগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি একইসঙ্গে টহল জোরদার করলে হাটবার গুলোতে ডাকাতি রোধ সম্ভব হবে। সাবেক মেম্বার আমিনুল বলেন, ডাকাতি রোধে দ্রুত যান দাবি করেন। প্রয়োজনে স্প্রিট বোড অথবা ভালো একটি নৌকা দেয়া দরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল) মোজাম্মেল হক, অপারেশন  অফিসার মো. মোজাফফর হোসেন, ওসি ডিবি বজলার রহমান, চিলমারী মডেল থানার ওসি আব্দুর রহিম, ঢুষমারা থানার ওসি আশরাফুল ইসলাম, মোহনগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প আইসি আব্দুর রহিম। 

পুলিশ জানান, বেশি সংখ্যক মানুষ একসংগে একাধিক নৌকা যোগে হাটে যেতে হবে। আর অবশ্যই সন্ধ্যার আগে ফিরতে হবে। জেলা পুলিশ ইতিমধ্যে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করে নদী পথে নজরদারি শুরু করেছে। ডাকাতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়ে মাঝিদের অবশ্যই জরুরী নাম্বার এ যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়া হয়। 

সহকারী পুলিশ সুপার (উলিপুর সার্কেল অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোজাম্মেল হক জানান, ডাকাতি রোধে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছেন। এ লক্ষে তিনি পুলিশের টহল জোরদার ও  সংশ্লিষ্ট থানাতে নৌকা দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।  তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় ডাকাতিসহ মাদক জুয়াসহ সব ধরনের অপরাধ নির্মুলে কাজ করবে পুলিশ৷

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান জানান, নদীর নাব্যতা বাড়ার সাথে সাথে চর এলাকায় নৌ ডাকাতদের তৎপরতাবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকায় তা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে চর এলাকায় সচেতনতামূলক সভা ও মত বিনিময় করা হচ্ছে।