১২ এপ্রিল, ২০২৫

ভুট্টা খেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, ব্যার্থ হয়ে নারীকে কুপিয়ে যখম

ভুট্টা খেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা, ব্যার্থ হয়ে নারীকে কুপিয়ে যখম

ভুট্টা খেতে নিয়ে এক নারীকে (৪২) ধর্ষণের চেষ্টা করেন জাকারিয়া হোসেন (৩০) নামের এক যুবক। সেখানে তিনি ব্যার্থ হয়ে ওই নারীকে কুপিয়ে যখম করেছেন। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে।

গুরুতর আহত নারীকে বিকেলেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বখাটে ওই যুবককে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত জাকারিয়া বিয়াঘাট গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি পাশ^বর্তী কুমারখালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. রাজিব হোসেন জানান, ওই নারীর দুই হাত, গলা, কানের নিচেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। গুরুতর আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভুক্তভোগি নারীর ছোট কন্যা বলেন, হাঁসের খাবারের জোগান দিতে কুমারখালী বিলে শামুকের সন্ধানে বেড়িয়েছিল তার মা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিলে একা পেয়ে তার মাকে কুপ্রস্তাব দেন লম্পট জাকারিয়া। প্রস্তাবে রাজি না হলে জাপটে ধরে একটি ভুট্টা খেতে নিয়ে যান। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে যখম করেন তার মাকে।

তিনি বলেন, রক্ত্যাক্ত শরীর নিয়ে বিল থেকে উঠে এসে সড়ক ঘেঁষা একটি বাড়ির উঠোনে পড়ে যান তার মা। সেখানকার লোকজন গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার মাকে।

আহত গৃহবধূর স্বামী বলেন, আহত স্ত্রীকে নিয়ে তিনি রাজশাহী মেডিকেলে ছিলেন। স্ত্রীর পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। স্ত্রীর সাথে হওয়া অন্যায়ের কঠিন বিচার চান তিনি। অভিযুক্ত জাকারিয়াকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও তার।

বিয়াঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) মো. সুজাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লম্পট জাকারিয়া অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে শ^শুড়বাড়িতে পাঠিয়েছেন। এর আগেও এই ধরণের কাজের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নেওয়ার দাবি তার।

অভিযুক্ত জাকারিয়া পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করে তার স্ত্রী ইত্তেফাককে জানান, ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে তার স্বামী অন্য একটি নারীকে কুপিয়ে যখম করেছেন। তিনিও তার স্বামী জাকারিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারওয়ার হোসেন বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগি নারীর স্বামী বাদি হয়ে জাকারিয়া নামের এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো আছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে পুলিশের দুইটি দল মাঠে কাজ করছে।