মনু নদের পাড়টি আরও নীরব, জনমানবহীন শান্ত একটুকরা নির্মল হাওয়ার ভূমি হয়ে আছে। তখন ‘সেখানে ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিয়েছে অরুণ/সেখানে বারুণী থাকে গঙ্গাসাগরের বুকে, সেখানে বরুণ....।’
জীবনানন্দ দাশের নাটার রঙের মতো রাঙানো সূর্যের জেগে ওঠার এই মুহুূর্তে একফালি মনু নদ কি আর গঙ্গাসগরের মতো কোনো উপমার সঙ্গে সমান হতে পারে, চলতে পারে। তা না-ই হরো, তবু সেখানে গঙ্গাসাগরের বুকের কাছে যেমন বরুণ থাকে, তেমনই এখানেও এই মনু নদের পাড়ে চুপি চুপি, শাখায় শখায় ফুলের বন্যা নিয়ে জেগে আছে বরুণের গাছ।
বসন্তের সকাল,মৃদু বাতাসে তখনো কিছুটা ঠান্ডার মতো ভাব আছে। সময় উড়ছে সকালের নরম রোদের পালকে। এ রকম একটা সময়ে পথ চলতে চলতে মৌলভীবাজার শহরের ফরেস্ট অফিস সড়কের বৈরব থলির কাছে দেখা হয়ে গেলো তাহাদের সাথে।
‘বাসা তোমার সাতসাগরের ঘূর্ণী হাওয়ার বুকে!/ফুটছে ভাষা কেউটে ঢেউয়ের ফেনার ফণা ঠুকে!/ প্রায়ণ তোমার প্রবালদ্বীপে, পলার মালা গলে/বরুণরানি ফিরছে যেথা, মুক্তপ্রদীপ জ্বলে।
‘অনেকটা তা-ই, গাছের শাখায় শাখায় সবুজ পাতার ফাঁকে মুক্তপ্রদীপের মতো জ্বলে আছে সাদা, গোলাপি, সবুজের মিশ্রণে অসংখ্য বরুণ ফুল