জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শহীদরা কারো পারিবারিক সম্পত্তি নয়। তারা জাতির সম্পদ। তাই তাদের পাশে থেকে জামায়াত ইসলামী নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে। ২
০০৯ থেকে ২০২৪ এর ৫ আগষ্ট পর্যন্ত সকল জালিমদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমারা এই খুনীদের সর্বচ্চ শাস্তি কামনা করছি। শুধু তাই নয়। খুনের নির্দেশদাতা ও বাস্তবায়ন কারিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ঝালকাঠির শহীদ সেলিম তালুকদার তার বাবামায়ের এক মাত্র সন্তান।
তিনি দেশ বাচাঁতে বুক পেতে দিয়েছেন। সকল শহীদদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করেন জামায়াত আমির। শহীদ সেলিমের নবজাতক কণ্যার নাম সাইফা সেলিম রাখার কথা জানিয়ে বিয়ে পর্যন্ত তার সব দায়িত্ব নেয়ার ঘোষনা দেন। সরকার জনগনকে সাথে নিয়ে কোরানের ভিত্তিতে একটা কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করবে।
এই কমানা আমাদের। শহীদ কণ্যা রোজাকে দেখতে এসে প্রেসক্লাবের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জামায়াতে আমির এসব কথা বলেন। ১৭ মার্চ বেলা ১২ টারদিকে হেলিকপ্টারে ঝালকাঠিতে আসেন তিনি।
জেলা জামায়েতের আমির এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, জামায়াত নেতা ড. ফয়জুল হক, জেলা সেক্রেটারী অধ্যক্ষ ফরিদুর রহমান, নায়েবে আমির এ্যাড ভোকেট বিএম আমিনুল ইসলাম, শহীদ সেলিমের বাবা সুলতান তালুকদার সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। পরে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান শহীদ কণ্যাকে দেখতে শহরের কবিরাজ বাড়ি এলাকার সেলিমের শশুরের বাসায় যান।
সেখানে তিনি শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও তাদের খোঁজ খবর নেন এবং নবজাতক শহীদ কণ্যাকে কোলেনিয়ে দোয়া করেন। এসময় দলের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের ঈদ উপহার এবং সেলামি প্রদান করা হয়।