দীঘল সিন্ধুর পাড়ে
যে আলোক রশ্মির স্ফুরণ হয়
নরম জটায়ুর অন্ধকারে
যে আলো ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে মিশে
ছড়ায়ে যায় উন্মুক্ত উঠোন
যে হাসি এস্পিরিনের মতো
নিমিষেই দূর করে বুকের চাপা ব্যাথা
যে মুখে প্রিয় ডাক শুনে
মিটে যায় হৃদয়ের সব ব্যকুলতা
যে দেহ লুকানো থাকে ভয়ার্ত আবরণে
তুমি সেই দেহ ও খুবলে ছিড়ে ফেলো?
কিভাবে? আমি জানতে চাই কিভাবে?
তোমার ভয় হয় না?
কষ্ট হয়না?
অনুতাপে হৃদয় দগ্ধ হয়না?
মায়া হয়না?
নিজের ওপরে করূনা হয়না?
তোমার মা, বউ, বোন,মেয়ের
নিষ্পাপ মুখগুলো ভেসে ওঠেনা।
এমনি এক জরায়ুর অন্ধকার থেকে তো
তুমিও এই আলোর বাসিন্দা
সেই একি সাদা পানীয়জলে গড়া তুমিও
শুধু তোমার বিবেক তোমাকে দংশন করেনা
কারণ
আবেগের করাল গ্রাসে ওত পেতে থাকা
তুমি এক অমানুষ
অমানুষ
অমানুষ।
মানুষে ভরা পৃথিবীতে
তুমি এক নরকের কীটপতঙ্গ
তোমার ধংস হোক
ধংস হোক, ধংস হোক।
ঘুনে ধরা সমাজে বিচার চাওয়াই বড় অবিচার
পাপের হিমালয়ে বসে তুমি সারংগি বাজাও
ওরা আবার একদিন ফুল হয়ে ফুটবে
অন্য কোন পৃথিবীর
কাটাহীন বাগানে।
চুপ থাকা চিৎকার
শারমিন সাথী
১০.৩.২৫