আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন এদেশের প্রতিটি নাগরিককে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলা।
ঝালকাঠিতে রোববার সকালে স্থানীয় শিল্পকলা একাডেমী চত্তরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এমপি। তিনি বলেন, কর্মমূখী শিক্ষাকে প্রাধ্যান্য দিতে হবে।
স্মার্ট কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে কর্মমুখী শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। দক্ষতা, যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে এদেশের কেউ বেকার থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হলে এদেশের প্রতিটি মানুষ দ্রুত সকল সেবা পাবেন। কোন রকম দূর্নীতি হবে না।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ প্রকল্পের পরিচালক প্রণব কুমার সাহা, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এর প্রকল্প পরিচালক এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস.এ.এম রফিকুল নবী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান।
মেলায় দেশের প্রথম সারির ২০টির অধিক তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় আগ্রহী চাকুরি প্রার্থীগণ পছন্দমতো আবেদন, স্বাক্ষাতকার এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর সংক্ষিপ্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
এছাড়া মেলায় দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্ভাবন, এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেমিনার ও আলোচনা অংশ নিতে পেরেছেন তরুণ-তরুণীরা। এছারাও জেলার ২২ জন সফল নারী উদ্যোক্তাকে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
কর্মসংস্থানের পেছনে নয়, বরং প্রার্থীর দোর গোড়ায় কর্মসংস্থানের উপস্থিতির এমন আয়োজন সরকারের বেকারত্ব হ্রাসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ অধিদপ্তর এবং এ টু আইসহ আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এই মেলার আয়োজন করে।