সেই সব দিনের কথা মনে করে আরাশের চোখের কোনের চিক চিক করতে থাকা জল অঝোরে ঝরে পরে দু গাল বেয়ে। এতো প্রেম নিয়ে আসা কাউকে কাউকেও পৃথিবী বিদায় করে অবেলায়। সেই সোনালী দিন গুলো চাইলেও ধরা দিতে পারতো দু কুল ছাপানো নদীর ঢেউয়ের মতো। বাধভাংগা প্রেমে জীবন বসন্তের মতো বর্নিল হতে পারতো। হয়না। হয়নি।
সৃষ্টি কর্তা কাকে নিয়ে কি ভেবে রাখেন তিনিই শুধু জানেন। অভিমান হয়। বড্ড অভিমান হয় তবুও।
তারপর জীবন চলে গেছে কয়েক বছর। পুস্পিতাকে হারানো বেদনার হৃদয়ে মরিচা পড়েছে। সেই চ্যাপ্টার বন্ধ করে জীবন আগে বেড়েছে। ইস্পাত কঠিন প্রত্যয়,কঠোর অধ্যাবসায় তাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। সিভিল সার্ভিসের টপ র্যাংক করা প্রশাসন ক্যাডার আজ সে। মাথার উপর অনেক দায়িত্ব। দেশের জন্য, দশের জন্য। তার হারানো প্রেমের অপুর্ন হওয়া সপ্ন পূরনের জন্য।
যে প্রেমের নিষ্পাপ বালিকার সপ্ন ছিলো ডাক্তার হওয়ার। সাস্থ্য খাতের অজস্র অনিয়ম দূর্নীতি দূর করে ডাক্তার দের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার। সাথে তার প্রশাসন ক্যাডার প্রেমিক পুরুষ কে সাথে নিয়ে। পুস্পিতার সে আশা পূরণ হয়নি। আরাশের হৃদয়টাও ভেংেছে। সে পারবে। পারতে তাকে হবেই। সুস্থতার চেয়ে বড় কোন নিয়ামত হয়না। আরাশ সেটা এখন আরও ভাল বুঝে।পুস্পিতাকে হারানোর পরে।
হয়তো পুস্পির সেই সপ্ন পূরনের বাহক করে স্রস্টাই মেহেক কে অঘটনের ঘটনা করে সামনে নিয়ে এসেছে আরাশের। হয়তো সেই জন্যই মেহেকের উজাড় করা হৃদয় হরনকারী, মায়াবী চোখের মায়ায় অবচেতনে জড়িয়েছে আরাশ। নাহ। এ আমি কি ভাবছি। পুস্পিতার সেই স্থান আর কাউকে আমি দেই কিভাবে? মেহেক ও না চাইতেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে। মন উচাটন, দোটানা মন এ কেমন অস্থিরতা।
আরাশ বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে। তার ফাউন্ডেশন ট্রেইনিং এ নাম আসছে। ব্যাগ গোছগাছ করে দুদিন পরেই চলে যাবে বিয়াম ফাউন্ডেশনে। ব্যাগ গোছাতেই সেখানেও ভেসে ওঠে মায়াবী এক চোখ। মেহেকের মায়াবী চোখ।
চলবে....
২৩.২.২৫
রাজ