অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন আব্দুর রউফ নামের এক উপপরিদর্শক (এসআই)।
রউফ সেই সময় রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় রউফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তেও মিলেছে পরকীয়ার সত্যতা।
এদিকে এ ঘটনার পর থেকে ওই কনস্টেবল শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। স্ত্রী এবং সন্তানের দুশ্চিন্তায় তিনি দুবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।
দুই দফায় করেছেন স্ট্রোক। এছাড়া এসআই রউফ তার পরকীয়া প্রেমিকাকে দিয়ে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আদালত করিয়েছেন মিথ্যা মামলা। নানাভাবে ওই কনস্টেবলকে এসআই রউফ হয়রানি করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এসআই রউফকে আরএমপি থেকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় বদলি করা হয়।
আর পাবনার ঈশ্বরদীর একটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন ভুক্তভোগী কনস্টেবল। এক সময় তিনিও আরএমপিতে কর্মরত ছিলেন।
স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার ঘটনায় ওই কনস্টেবল গত বছরের মার্চে আরএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আরএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিট এ অভিযোগের তদন্ত করে।
১২৭ পাতার তদন্ত প্রতিবেদনে ওই পুলিশ কনস্টেবলের অভিযোগের সত্যতা মেলে। এরপর রউফের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।
পরে আবারও আরএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম মামলার তদন্ত করে সম্প্রতি প্রতিবেদন দিয়েছেন।
ওই পুলিশ কনস্টেবল অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ছেলে রাজশাহীর একটি স্কুলে অধ্যয়নরত।
এ কারণে তার স্ত্রী নগরীর সাধুর মোড়ে নিজের বাবার বাড়িতেই থাকেন। বাড়ির অংশ নিয়ে বোনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে এক শ্যালিকা বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান থানার তৎকালীন এসআই রউফ।
কনস্টেবল অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, একদিন তিনি কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে রউফকে তার স্ত্রীর সঙ্গে ডাইনিংয়ে একসঙ্গে খেতে দেখেন। তিনি রউফের পরিচয় আগে থেকে জানতেন না। স্ত্রীর কাছে জানতে পারেন- অভিযোগ তদন্ত করতে এসে রউফের সঙ্গে পরিচয়। এরপর রউফ তার শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর ভাড়া নিয়েছেন।
তিনি একা থাকেন। রান্নার সমস্যার কারণে রউফ তার স্ত্রীর সঙ্গ।