ভোর ৫ টা। ঘরিতে এলার্ম বাজছে।মেহেকের ঘুম ভেঙে গেলো। কিছুক্ষন বিছানায় এদিক ওদিক ঘুরে ঊঠে পরে সে। ফ্রেশ হয়ে ওজু করে এসে নামাজ পরে নেয়।
আজ অনেকক্ষণ ধরে সেজদায় পরে থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে। কোন কিছু চাইবার জন্য নয়। অনেক কিছু পেয়েছে বলেই শুধু তিক্ততা... প্রকাশের জন্যেই সেজদায় পরে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে তার। তারপর এক প্রফুল্ল মন নিয়ে সে জায়নামাজ থেকে উঠে পরে।
কিচেনে গিয়ে কফি বানায়। তারপর বেলকনিতে গিয়ে ভোরের স্নিগ্ধ বাতাসে এক সুন্দর ভবিষ্যতের কল্পনা করতে করতে কফির মগ শেষ হয়। চলে আসে পড়ার টেবিলে। কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে সে গোসল করতে যায়।
আজ ওটি আছে। ৮.৩০ এর মধ্যে ওটি তে চলে যেতে হবে। অনেক ক্ষন ধরে শাওয়ার নেয়া তার অভ্যাস অথবা বদ অভ্যাস।
শাওয়ার ড্রেস পড়ে রুমে চলে আসে। মিরর এর সামনে দাড়াতেই মুখটা দেখেই মনে হয়ে মেয়ে টা কিউট আছে। হালকা লেভেন্ডার কালার এর এক ড্রেস পড়ে, নাস্তা করে চলে যায় হস্পিটালে।
সারাদিন ধরে চলে ওটি। আপুদের অর্ডার শুনতে শুনতে জীবন তেজপাতা। উনাদের টায়ার্ড লাগেনা? রাগ, ক্লান্তি কোন কিছুর মূল্য নাই এখানে। তবে যা আছে তার কোন তুলনা চলেনা। মূমুষু মানুষের জীবন বাচানোর ত্রিপ্তি। এ জন্যই তো আসা এই পেশায়। কষ্ট হোক তবু ভালবাসি।
সারাদিন সব ওটি শেষ করে মেহেক বাসায় ফিরে আসে।আজ বাবা অফিসে মিটিয়ে ব্যস্ত। তাকে আনতে যেতে পারেনি।
সে ফিরেছে রিকশায়।সেই রাস্তার মোড় দিয়ে যেখানে সেই শান্ত শীতল চোখের এক সুদর্শন মাজিস্ট্রেট এর সাথে তার এক্সিডেন্ট হয়ে ছিল।
মনের অজান্তেই মেহেক এর মুখে হাসি ফুটে ওঠে। কেন? সে জানেনা।
চলবে....
৪.১১.২৪
শারমিন সাথি
রাজ