দীর্ঘ আট বছর পর নাফ নদীতে মাছ শিকারের সুযোগ পেলেন সেখানকার জেলেরা। কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে দীর্ঘ আট বছর মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার থেকে আবারো মাছ শিকারের অনুমতি পেয়েছেন জেলেরা।
মাছ ধরার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জেলেরা। আনন্দের জোড়ার বইছে জেলে পরিবারগুলোতে।
সূত্র জানিয়েছে, উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ এবং মাদক পাচার ঠেকাতে নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় তখনকার সরকার।
মাছ শিকারের বন্ধ হওয়ায় দুর্দশায় পড়ে এই অঞ্চলের জেলে পরিবারগুলো। অনেক নাফনদীতে মাছ ধরতে না পেরে দিনমজুরি ও জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করে সংসার চালাতে শুরু করেন।
শাহপরীর দ্বীপের জেলে মো. আব্দুল্লাহ বলেন, নাফ নদীতে এখন সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী মাছ ধরতে পেরে তারা আনন্দিত উচ্ছ্বসিত। যখন নাফনদী বন্ধ ছিল তখন আট পর পরিবারের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। দিনাতিপাত করেছেন খেয়ে না খেয়ে। এখন নদী মাছ ধরতে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাচ্ছেন। এক দুইদিন মাছ ধরতে পারলেই তিন চার হাজার টাকা পাবেন। নৌকার মাঝিরাও হাজার হাজার টাকা পাচ্ছেন।
টেকনাফের জালিয়াপাড়ার ইমাম হোসেন বলেন, মাছ ধরলে সংসারের খরচ জোগাড় হয়। আর মাছ ধরতে না পারলে ধারদেনায় সংসার চালাতে হয়। যখন নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ ছিল, তখন তারা নিরুপায় হয়ে বনে গিয়ে জ্বালানির কাঠ সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। তাতে যা আয় হতো তাই দিয়েই কোনো রকমে দিন পার করতেন। এখন সরকারি নিয়ম মেনে নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে। বড় বড় পোপা মাছ থেকে শুরু করে নদীতে ছুরি, চিংড়ি, বাটা, রূপচাঁদা, কোরাল ইত্যাদি সামুদ্রিক নানা প্রজাতির মাছ পাচ্ছেন তারা।