এ বছর উল্লাপাড়ায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা এলাকায় সরিষা চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৬শ’ ১৫ হেক্টর। কিন্তু স্থানীয় চাষীদের অধিক আগ্রহের কারনে মোট ২৪ হাজার ৫’শ ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়। এবার মোট ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৩’শ ১২ মেট্রিক টন। কৃষি বিভাগের হিসেব অনুযায়ী দেশে উপজেলা পর্যায়ে সরিষা চাষে প্রথম স্থানে রয়েছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা।
উল্লাপাড়ার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের পূর্ব সাতবাড়িয়া গ্রামে সরেজমিনে সরিষার মাঠ দেখতে গেলে কথা হয় কৃষক খোরশেদ সরকারের সঙ্গে। তিনি জানান, এ বছর ৩২ বিঘা জমিতে বারি-১৭সহ আরো ২টি উন্নত জাতের সরিষা চাষ করেছেন তিনি। গেল বছর এসব জমিতে সরিষা উৎপাদিত হয়েছিল বিঘা প্রতি ৫ মন। এ বছর সময়মতো কুয়াশা না থাকায় এবং ভালো রোদ পাওয়ায় অনেক বেশি ফলন হয়েছে তার জমিতে। প্রতি বিঘায় প্রায় ৭ মন করে সরিষা ঘরে তুলছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের সরিষার বীজ, সার প্রদান করা হয়েছে এবং কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষনিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। খোরশেদের মতো একই কথা জানালেন, বেতবাড়ী গ্রামের কৃষক দেলকোশ সরকার, আল আমিন, আশরাফুল ইসলাম।
উপজেলার সুজা গ্রামের সরিষা মাঠ থেকে ঘোড়ার গাড়ির মাধ্যমে সরিষা বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক আব্দুস ছাত্তার। তিনি জানান, এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার বেশ ফলন হয়েছে। ঘোড়ার গাড়িতে সরিষা বহনে খরচ কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমি জানান, সরিষা চাষে বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ে উল্লাপাড়ার স্থান প্রথম। এবছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ হাজার ৬শ’ ১৫ হেক্টর। কিন্তু স্থানীয় চাষীদের অধিক আগ্রহের কারনে মোট ২৪ হাজার ৫’শ ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়।
এবার মোট ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৩’শ ১২ মেট্রিক টন। অনুকুল আবহাওয়ার কারনে চলতি মৌসুমে সরিষার ফলন চমৎকার হয়েছে। আর এজন্য সরিষা চাষীরা বেশ খুশি।
এ বছর উল্লাপাড়া উপজেয়ায় মোট ১৫ হাজার কৃষককে উন্নত জাতের সরিষা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে এবং কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষনিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুবর্ণা ইয়াসমিন আরো বলেন, সরিষা চাষে প্রথম স্থান থাকায় উল্লাপাড়ায় মধু উৎপাদনও হয় দেশের সর্বোচ্চ।