২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

শেষ বিকেলের মেয়ে

শেষ বিকেলের মেয়ে

আরাশ আহমেদ। বাংলাদেশের এক প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা তরুন, কর্মঠ, উদ্দ্যমী এক যুবক।সদ্য সে যোগদান করেছে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এক গুরুত্তপূর্ণ পদে। দূর থেকে দেখলে কিছু মানুষের প্রতি এক অদ্ভুত মায়া জন্মায়। তাকে কাছে থেকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। চোখে মুখে এক সারল্য নিয়ে কিছু  না বলেও কেউ কেউ মানুষের হৃদয় জয় করার অপরিসীম গুন নিয়ে জন্মায়। আরাশ আহমেদ  তাদের ই একজন।

ডিসি অফিসে জরুরী মিটিং চলছে। হঠাৎ করেই সারা  পৃথিবীর সাস্থ্য ব্যবস্থার মারাত্তক বিপর্যয় ঘটেছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। পুরো পৃথিবী থমকে গেছে চোখের পলকে। উন্নত দেশেই হিমসিম খেতে হচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ মাত্র। প্রতিটা সেক্টর এই এখনো যার অনেক উন্নয়ন দরকার। যদিও দেশ টা এগিয়ে যাচ্ছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাস্থ্য সেক্টর এ মাতৃ মৃত্য হার কমিয়ে আনার সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে  পুরস্কৃতও  হয়েছেন। যদিও এখানে অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার পরেও এই সেক্টরে অর্জন অনেক। আর সাস্থ্যের মত এক মৌলিক বিষয় অনেক গুরুত্তপূর্ণ। কারন এটার সাথে দেশের অর্থনীতি ও জড়িত ওতোপ্রোতো ভাবে। নতুন এক মহামারি এসে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।

মানুষ বুঝতে পেরেছে সুস্থ্য ভাবে বেঁচে থাকার মত অনিন্দ্য সুন্দর আর কিছু হয়না। এই মহামারি থেকে বাঁচার উপায় আপাতত সবার সচেতনতা আর গৃহবন্দী থাকা।মানুষকে সেটা বুঝানোই এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা কিভাবে সফল করা যায় সেসব নিয়েই মাননীয় ডিসি মহোদয় মিটিং ডেকেছেন। আরাশ আছে সেখানেই। সেখান থেকে দিক নির্দেশনা নিয়ে কলিগদের সাথে আরও কিছু আলোচনা করে আরাশ তার ডর্মে চলে আসে।

এসেই ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নেয়। অনেক ক্লান্ত সে আজ। বিছানায় হেলান দিয়ে  সারাদিনের ক্লান্ত শরীর টা বিছিয়ে দিতেই এক মায়াবী মুখ চোখের সামনে ভাসতে থাকে। গায়ে সাদা এপ্রন জড়ানো, কপালে রক্তের দাগ লেগে থাকা, পথের মাঝে পড়ে যাওয়া এক মায়াবী মুখ। আরাশের বুকের মাঝে হঠাৎ করেই  অদ্ভুত এক ধাক্কা লাগে। রুমের দেয়ালের দিকে অপলক তাকিয়ে সে ভাবতে থাকে। কেন ভাবছে। সে জানেনা। ভাবতে ভাবতেই এক রাশ ক্লান্তি নিয়ে সে ঘুমিয়ে পরে। ঘুম থেকে উঠে তাকে অনেক কাজ করতে হবে।

(চলবে.....)

মুক্ত/আরআই