এক মাসের ব্যবধানে কুড়িগ্রামের চিলমারী-রাজিবপুর নৌ-পথে ফের ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিমে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-ঢুষমারা ও সুন্দরগঞ্জ এই তিন থানার মোহনায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চিলমারী নৌ-পুলিশ ফাঁরির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সেলিম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী নৌ যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে রাজিবপুরের উদ্দেশ্যে তালিকাভুক্ত একটি নৌকা ছেড়ে যায়। নৌকাটিতে ৪০ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন।
নৌকাটি চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিম দিকে পৌঁছার পরপরই সশস্ত্র ডাকাতদের হামলার শিকার হয়। ১১ জনের ডাকাতদল ডিঙ্গি নৌকায় করে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশিয় অস্ত্রের মুখে নৌকা থামিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। তাদের সাথে থাকা টাকা ও মোবাইলসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে চলে যায়। যাওয়ার সময় তারা যাত্রী নৌকার শ্যালো ইঞ্জিনের হ্যান্ডেল নিয়ে যায়।
নৌকায় ডাকাতের আক্রমনের শিকার যাত্রী মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা রাজিবপুরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে কড়াইবরিশাল এলাকার পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদে যখন আমাদের নৌকা অবস্থান করছিল।
ঠিক ওই সময় কড়াইবরিশাল চরের তীর থেকে একটি ছোট নৌকা আমাদের দিকে আসতে শুরু করে। পরে কাছে এসেই দেশিও অস্ত্র, শর্টগানসহ ডাকাত দলের ১১ জনের একটি দল আমাদের নৌকায় অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
আমাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আমরা নৌকাসহ চরেই আটকা পড়ি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের নৌকা উদ্ধার করে নিরাপদে পৌঁছার ব্যবস্থা করেন।
নৌ পুলিশের এএসআই সেলিম সরকার বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খোঁজ খবর নিচ্ছি। ১০/১১ জনের মুখোশ পড়া একটি দল নৌকার যাত্রীদের মোবাইল ও টাকা কেড়ে নিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত এব্যাপারে কোন মামলা হয়নি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
গত বছর ২১ ডিসেম্বর চিলমারীর অষ্টমীরচর ইউনিয়নের দুইশ বিঘার চরের কাছে নৌ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১৬-১৭ জনের ডাকাত দল ‘পিস্তল’ ও দেশি অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে যাত্রীদের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে চলে যায়।