ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন। এই দাবি পূরণে তারা ৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন। ৪ ঘন্টার মধ্যে সমাধান না হলে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী কর্মসূচি দেবেন।
গতকালকের ঘটনার জের ধরে ঢাকা কলেজের সামনে জড়ো হয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা কলেজের শহীদ মিনারের সামনে তারা সংবাদ সম্মেলন করছেন। আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়।
৬ দফা দাবির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের পদত্যাগের কথা বলা হয়েছে।
এর আগে রবিবার দিবাগত রাত ১১ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেলে আহত হয়েছেন কয়েকজন ছাত্র। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট এবং কাদ্যানে গ্রাস নিক্ষেপ করে।
রাতভর ওই ঘটনার পর সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে। তখনো সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনের সড়ক অবরোধ করেননি।
এই এলাকার সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। তবে অন্য দিনের তুলনায় কম সংখ্যক যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
নীলক্ষেত এলাকায় আজ বেলা ১১টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের দুই পাশেই পুলিশ সদস্যরা সারিবদ্ধভাবে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
গতকাল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এই কলেজের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। ওই হামলায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে হামলায় জড়িত সবার বিচার দাবিতে আজ সোমবার সকাল ৯ টা থেকে নিজ কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এই কারণে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত রাখো হয়েছে।
যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ে আলোচনা করতে গেলে গতকাল রোববার সন্দ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ সাত কলেজের অর্ধশত শিক্ষার্থীকে অপমান করেন— শিক্ষার্থী এমন অভিযোগ তোলেন। এই ঘটনার পর সহ-উপাচার্যের ক্ষমা চাওয়ার দাবি নিয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব মোড় অবরোধ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
সেখান থেকেই রবিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের দিকে মিছিল নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এসময় নীলক্ষেত মোড় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। পরে তারা একযোট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেন। এভাবে রাত ১১ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ইটপাটকেলে দউপক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট এবং কাদ্যানে গ্রাস নিক্ষেপ করে।