২০০৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় জামায়াতের প্রার্থীকে বেশি ভোট দেওয়ায় এলাকার মানুষ বেশি নির্যাতিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধায় উল্লাপাড়া পৌর জামায়াতের আয়োজনে পৌর মুক্ত মঞ্চে কর্মী ও সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিলো ফখরুদ্দিন, মঈন উদ্দিন এবং ভারতের `র' এর কারচুপি নির্বাচন। সে সময় উল্লাপাড়ায় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিলেন।
তবে রাত যত ভারী হয়েছিল ফলাফল পরিবর্তন করে তাকে পরাজিত করা হয়েছিল। এরপর থেকেই উল্লাপাড়ায় তাদের নেতাকর্মীর উপর জুলুম নির্যাতন বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া হামলা মামলাসহ জামায়াতের ৩ জন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে তৎকালীন আওয়ামী পুলিশ।
বাংলাদেশের জামায়াত-শিবির সবচেয়ে বড় মজলুমের দল। তারা হাজার নির্যাতন সহ্য করেও কখনো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। তারা ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়াতেও ভয় পায়নি।
জামায়াতের এই নেতা বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে যারা দূর্নীতি ও চাঁদাবাজী করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলেও তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান।
কর্মীও সূধী সমাবেশে পৌর জামায়াতের আমীর আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে ও আব্দুল বারী'র সঞ্চালনায় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলী,সাধারাণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম, আব্দুস ছামাদ মিয়া, উপজেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য আশরাফুল আলম মোত্তালিব, রফিকুল ইসলাম প্রধান, অ্যাডভোকেট জাহিদ হোসাইন মিন্টু, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক নুর মোহাম্মদ মন্ডল আরো অনেকে।