সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর কেন্দ্রীয় দারুল উলুম কামিল (এমএ) মাদ্রাসা কেন্দ্রে ১৪ জাুনয়ারী ২০২৫ থেকে শুরু হয়েছে ফাজিল পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষার শুরু থেকেই পরীক্ষার্থীরা মোবাইলে নকল করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, সম্মান অথবা সমমানের যেকোনো পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ এবং ব্যবহার সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি থাকলেও সে নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
নলতা আহ্ছানিয়া দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার মোঃ মারুফসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী শ্যামনগর পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার সময় হলরুমের ভিতর থেকে পরীক্ষার খাতাসহ ফেসবুক আইডিতে ছবি পোস্ট করলে বিষয়টি আলোচনায় আসে।
আরো জানা যায়, নলতা আহছানিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. রমিজ উদ্দিন শ্যামনগর পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার মো. উজায়ের এর সাথে যোগসাজসে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।
পরীক্ষার হলে কোনো শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে তাকে বহিষ্কার করতে হবে। এছাড়া এই অপরাধের জন্য তার সংশ্লিষ্ট বছরের পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবে। যদি কোন শিক্ষক এ বিষয়ে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অথবা শিক্ষক প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে নিয়ম নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে মোবাইলে নকল করে পরীক্ষা দেওয়ায়।
এ ব্যাপারে নলতা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ রমিজউদ্দীন এর কাছে +৮৮০১৭১৯-৫৬৮৫৩৮ এই নাম্বারে জানতে চাইলে তিনি বলেন "বিষয়টি সামান্য ব্যাপার, এটি স্থানীয়ভাবে মিমাংশা করে নেওয়া হয়েছে, পত্রিকায় লেখার দরকার নেই।" শ্যামনগর কেন্দ্রের হল সুপার মো. উজায়েরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।