২৩ জানুয়ারি, ২০২৫

সাতক্ষীরায় কৃষক মুনসুর আলী হত্যার বিচার দাবি

সাতক্ষীরায় কৃষক মুনসুর আলী হত্যার বিচার দাবি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ইছাকুড় (খানপুর) গ্রামের কৃষক মনসুর আলী কাগুচি হত্যার বিচারের দাবিতে ও অপরিকল্পিত হাজী ব্রিক্স বন্ধের দাবি নিয়ে নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছেন। বুধবার (২২ জানুয়ারী) শ্যামনগর মাইক্রোস্টান্ডে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন শেষে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশানর (ভূমি) বরাবর স্বারক লিপি প্রদানের মাধ্যমে প্রসাশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপস্থিত এলাকাবাসী। মানববন্ধনে নেতৃত্ব প্রদান করেন, রবিউল ইসলাম ছট্টু।

এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের পক্ষে বক্তব্য রাখেন মো. আব্দুল জলিল বলেন, শ্যামনগরের ইছাকুড় গ্রামের কৃষক মুনসুর আলীকে পরিকল্পিত ভাবে, হাজী ব্রিক্স নামীয় অপরিকল্পিত ইট-ভাটার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে তাকে হত্যা করেছেন ওই ভাটার মালিক উপজেলা কাটিবারহল গ্রামের শেখ গহর আলীর পুত্র শেখ মোস্তাক হোসেন ও তার লোকজন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

উক্ত শেখ মোস্তাক হোসেন জনবসতি গ্রামের মধ্যে অপরিকল্পিত ভাবে ইটভাটা তৈরী করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তিনি আমাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে তার ভাটার জায়গা প্রসারিত করতে চায়। সে কারনে গ্রামবাসীদের সে হয়রানীকরার লক্ষে বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা, জীবন নাশের হুমকি সহ নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে চলেছে।

এদিকে নিহত কৃষক মুনসুর আলীর পুত্র আকবর হোসেন বলেন, আমার পিতাকে পরিকল্পিত ভাবে অবৈধ ইটভাটা মালিক ভাটার পাশে থাকা আমাদের জমিটুকু নেয়ার জন্য আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে সে কোর্টে মামলা দিয়েছে।

তাহাতে তিনি ক্ষ্যান্ত না হয়ে গত ৭ জানুয়ারী শেখ মোস্তাক হোসেন ও তার লোকজন আমার পিতাকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পিভাবে তাহার ভাটার পাশে আমাদের ভুট্টা খেতের জমিতে বিদ্যুতের তার ফেলে রাখে ওই দিন ভোরে আমার পিতা খেতে গেলে বিদ্যুতের তারে পেচিয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

তাহারা আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আমার পিতার হত্যার বিচার দাবী করছি। এ ঘটনায় মামলা করায় আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।  

আসামীরা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। আমরা এ মানববন্ধন থেকে আমার পিতার হত্যার বিচার ও অপরিকল্পিত ইটভাটা অপসারণের দাবি সহ আমাদের জীবনের নিরাপত্তা কামনা করছি।

অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিহত কৃষক মুনসুর আলী কাগুচির স্বজন রুমা খাতুন, মোমেনা খাতুন, গ্রামবাসী ফারুক হোসেন প্রমুখ। এসময় ভূরুলিয়া ও ইছাকুড় গ্রাম থেকে প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষ মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।