রাজশাহীর-বাগমারা'য় ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের টাকা রাখাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র কর্মীর হাতে ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হামলার শিকার হয়েছেন।তিনি মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয়েছে বলে স্থানীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহত বিএনপি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৬ জানুয়ারী) উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের যাত্রাগাছী ইউনিয়ন পরিষদে। ওই ঘটনার পর থেকেই স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের জনসাধারনের কাছ থেকে গৃহ ট্যাক্স ও গ্রাম পুলিশ ট্যাক্স আদায়ের দায়ীত্ব নেন নওঁগার মান্দা উপজেলার এক স্থানীয় এনজিও। তবে এনজিও’র নামটি কেউ জানাতে পারেনি।
ট্যাক্স আদায়কারী এনজিও’র কর্মীদের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে ধরা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে এক শালিস বৈঠক বসে। শালিস বৈঠকে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি ধরা পড়লে এনজিও’র কর্মীরা অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ওই বৈঠকে শালিসদারগন ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষতি সাধনের জন্য এনজিও কর্মীর ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ইউনিয়র পরিষদের হিসাবে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
কিন্তু টাকা জমা দেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে টালবাহনা শুরু হয়। টাকা গুলো ইউনিয়ন পরিষদের হিসাবে জমা দেয়ার জন্য ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেন তাগিদ দেন।
বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামসহ কয়েকজন আপত্তি জানান। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক সময় বিএনপি’র নেতা মোশারফ হোসেন বাহিরে আসলে ইউপি সদস্যের ইন্দনে বাবু ও খলিলুর রহমান হামলা চালায়।
তাদের হামলায় বিএনপি’র নেতা মোশারফ হোসেনের মাথা ফেটে রক্ত খরন শুরু হয়। ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। আহত বিএনপি’র নেতা মোশারফ হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের টাকা নিজেরা আত্মসাত করার জন্য চেষ্টা করেছিল। আমি বাঁধা দেয়ায় তারা আমার উপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি এই হামলার সুষ্ট বিচার দাবী করেছেন।স্থানীয়দের দাবী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারেরা ভুয়া এনজিও’র নাম ব্যবহার করে ইউনিয়নের জনগনের কাছ থেকে অতিরিক্ত ট্যাক্স আদায় করছে। ট্যাক্স আদায়কারীরা ইউনিয়ন পরিষদের ক্যাশ বইয়ে ২০০ টাকা জমা করলেও নিজেদের বইয়ে ২৫০ টাকা জমা করছেন। যার কারনে ইউনিয়ন পরিষদের আয় বৃদ্ধির পরিবর্তে ব্যায়ের ভারটা বেড়ে যাচ্ছে। তাই স্থানীয় লোকজন এমন কর্মকান্ডের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় কিছু বাটপারদের দায়ী করেছেন।
তারা অবিলম্বে ওই তদন্ত করে ওই সকল বাটপারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার ব্যবহৃত মুটোফোনটি রিসিভ করেন নি। অপর দিকে বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।