১৪ জানুয়ারি, ২০২৫

বাবরসহ পাঁচজন খালাস, সাজা কমল পরেশ বড়ুয়াসহ ৫ জনের

বাবরসহ পাঁচজন খালাস, সাজা কমল পরেশ বড়ুয়াসহ ৫ জনের

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের মামলায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন। একই সঙ্গে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াসহ পাঁচজনের সাজা কমানো হয়েছে।

মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এই মামলায় ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়ুয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে কমিয়ে ১৪ বছর করাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরেশসহ পাঁচ আসামির সারা কমেছে হাইকোর্টের রায়ে।

এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ছয়জন খালাস পান।

খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ৫ জন
এই মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজনকে খালাস দেয়ে হয়েছে। বাবর ছাড়া খালাসপ্রাপ্ত অপর চারজন হলেন রাষ্ট্রয়াত্ত সরকার কারখানার চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের (সিইউএফএল) তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, তৎকালীন মহাব্যবস্থপাক (প্রশাসন) কে এম এনামুল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন।

রায়ের পর লুৎফুজ্জামান বাবরের আই নজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, কোর্ট বলেছেন, ‘আজকে একটি অ্যাডভান্স অর্ডার সই করে দেবেন। আমি আশা করি আজকেই এই আদেশ পৌঁছানো হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাবর জেল থেকে মুক্তি পাবেন। বাবর কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছেন।’

তিনি বলেন, ১৪ জনের সাজা হয়েছিল এই মামলায়। তার মধ্যে পাঁচজন খালাস পেয়েছেন। ৫ জনের সাজা কমিয়ে দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুজনিত কারণে চারজনের আপিল নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।

নিজামীসহ ৪ জনের আপিল নিষ্পত্তি
মতিউর রহমান নিজামীসহ ৪ জনের আপিল মৃত্যু জনিত কারণে নিষ্পত্তি করেছেন আদালত। মারা যাওয়া চারজন হলেন— সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, এএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আবদুর রহিম, শ্রমিক সরবরাহকারী দ্বীন মোহাম্মদ ও ট্রলারমালিক হাজি সোবহান।