৯ জানুয়ারি, ২০২৫

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকী এখন বিলুপ্ত

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকী এখন বিলুপ্ত

সাতক্ষীরা সহ সারাদেশের এক সময়ের বরকনে আনা নেওয়ার একমাত্র বাহন ছিল পালকি। কনে পক্ষ মেয়ের বিবাহের পর মেয়েকে শ্বশুর বাড়ী পাঠানোর বাহন ছিল পালকি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী পালকী।

১৯৭০ সালের দিকে জেলার কাহার বংশীয়দের রুটি রোজগার ছিল পালকি। একটি ঐতিহ্যবাহী যান। বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে চার কোনায় একটি কাঠের ফ্রেমে তৈরী করে যেখানে দুই পাশের বাশের লাম্বু রাখার জন্য দন্ড থাকে।

এর উপরে বসানো হয় ছাউনি এবং আনা নেওয়ার ব্যবস্থা পালকীর ভিতরে একজন অথবা দুজন বসতে পারেন। আর বাইরে থেকে পালকীর দন্ড কাঁধে তুলে ধরেন চার বা দুজন পালকীর বাহক। প্রাচীন কালে পালকী ছিল সম্ভ্রান্ত পরিবারের মানুষের জন্য একটি জনপ্রিয় পরিবহন মাধ্যম।

বিশেষত বিয়ে, যাত্রা অথবা কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হত। বর্তমান যুগের সাথে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা আসার পর পালকীর ব্যবহার আর দেখা যায়।

৭৫ বছর বয়সী কালু মিয়া নামের এক ব্যক্তির  সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি চার বেহারার পালকী বর ও কনেকে নিয়ে বেহারাদের পায়ে ঘাগর বেঁধে কুচানে হাফ সায়া পরে হায়রে লক্ষি সোনার ঘরে, চার বেহারার পালকী চড়ে বলবোনা আমরা বলবোনা।

এই শোলক গাইতে গাইতে বরের বাড়ী নিয়ে যেতে দেখতাম। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন অপরদিকে নিত্য নতুন যানবহনের জন্য পালকী এখন দেখা যায়না। আর পালকী বহনকারীদের ভাড়া না হওয়ায় তারা এখন বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে পড়েছে।