২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪

চিলমারী নৌবন্দরের কাজ সম্পন্ন হলে মিলবে শতশত কর্মসংস্থান

চিলমারী নৌবন্দরের কাজ সম্পন্ন হলে মিলবে শতশত কর্মসংস্থান

কুড়িগ্রামের চিলমারী নৌবন্দরের কাজ এগিয়ে চলছে। বন্দরের কাজ সম্পন্ন হলে শতশত লোকের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে। বর্তমানে ৩ শত কোটি টাকা ব্যয়ে নৌবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে।

ঐতিহ্যবাহী নৌবন্দর থেকে ইতোপূর্বে নৌকা যোগে পাট ও অন্যান্য মালামাল ভারতের আসামের ধুবরী, কলকাতাসহ দেশের ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, জামালপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, রৌমারী ও রাজিবপুর এলাকায় পরিবহন করা হতো। পরবর্তীতে বন্দরটিকে স্থায়ীরূপ দেওয়ার জন্য বিগত ৪ দলীয় জোট সরকার ২০০৪ইং সালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়।

পরে বিএনপি সরকার গঠন করতে না পারায় ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে বন্দরের কাজ নিয়ে টালবাহানা করতে থাকে এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে শতশত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বন্দরের স্থায়ীরূপ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়। চলতি মাসে অন্তর্বতীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোঃ ইউনুস এর সভাপতিত্বে একনেকের বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চিলমারী এলাকার রমনা, জোড়গাছ, রাজিবপুর, রৌমারী ও নয়ারহাট নদী বন্দর নির্মাণ প্রথম সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় চিলমারী, রৌমারী, ও রাজিবপুরবাসীর মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চিলমারী বন্দর থেকে দুটি ফেরি মালবাহী ট্রাক, মাইক্রো, কার ও মানুষ বোঝাই করে রৌমারী যাতায়াত করছে। তাও আবার নাব্যতা সংকটের কারণে প্রায় সময় বন্ধ থাকছে। এতে করে মালামাল পরিবহন ও মানুষ পারাপরে বিঘ্ন ঘটছে।

নৌ-বন্দর শ্রমিক নেতা মুকুল মিয়া জানান, বন্দরের কার্যক্রম শেষ হলে শতশত লোকের কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হবে। পার্শ¦বর্তী রাষ্ট্র ভারত, শ্রিলংকা, ভুটানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কম খরচে মালামাল পরিবহন করতে পারবে।

বিআইডবিøউটিসি এর চিলমারী ম্যানেজার প্রফুল্ল চৌহান জানান, নদের নাব্যতা না থাকায় গত ২৩/১২/২০২৪ইং তারিখ থেকে ফেরি দুটো চলাচল বন্ধ রয়েছে। ড্রেজিং এর কাজ চলছে এক সপ্তাহ লাগতে পারে।

স্থানীয় আবু জেয়াদ আজাদ বিপ্লব জানান, এক সপ্তাহ যাবত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় মালামাল পরিবহন ও লোকজনকে যাতায়াত করতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। ইঞ্জিন
চালিত নৌকায় যাত্রী পারাপার হতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে।

রৌমারী এলাকার মাসুদ মিয়া জানান, বন্দরের কার্যক্রম পূরাপুরি চালু করা হলে শুকনো মৌসুমে নদের নাব্যতা সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিলে রৌমারী ও রাজিবপুরসহ জামালপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় যাতায়াত ও ব্যবসা-বাণিজ্যে নবদিগন্তের উম্মোচন হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে বন্দরের অবকাঠামোর কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।