২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাগেরহাট থেকে সন্দেহভাজন ইরফান গ্রেপ্তার

বাগেরহাট থেকে সন্দেহভাজন ইরফান গ্রেপ্তার

মেঘনায় জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় আকাশ মণ্ডল ইরফানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাগেরহাটের চিলমারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা জেলার র‌্যাব-১১ থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

জাহাজে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৭ খুন ও আহত এক ব্যক্তির কথা মামলারে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। খুন হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, গ্রিজার সজিবুল ইসলাম, লস্কর মাজেদুল ইসলা, শেখ সবুজ, আমিনুর মুন্সি, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন ও বাবুর্চি রানা কাজী। আহত ব্যক্তি সুকানি জুয়েল (২৮)। তিনি ফরিদপুর সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের সেকানদার প্রকাশ সেকেন্ড খালাসীর ছেলে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মাহবুব মোর্শেদ। তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, আহত জুয়েল গলায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে কথা বলতে না পারায় ডাকাত দলের বিস্তারিত বিবরণ দিতে পারেননি। তিনি সুস্থ হলে ডাকাতদল দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানিয়েছেন। তবে জুয়েল হাতে লিখে জানিয়েছেন, জাহাজে তাদের সঙ্গে ৯ জন ছিলেন। ৯ নম্বর ব্যক্তির নাম ইরফান। তাবে তখন তার ঠিকানা দিতে পারেননি জুয়েল।

গত সোমাবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন এমভি আল বাখেরা কার্গো জাহাজের মালিক মাহবুব মোর্শেদ। মামলাটিতে সংবাদদাতা হিসেবে অপর একটি জাহাজ এমভি মুগনির মাস্টার বাচ্চু মিয়াসহ ৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

হত্যাকণ্ডের শিকার সাতজনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে হস্তান্তর করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন ও নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারে ২০ হাজার টাকার চেক ও নৌপুলিশের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

মুক্ত/আরআই