২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

সাতক্ষীরায় মাছের পাশাপাশি অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

সাতক্ষীরায় মাছের পাশাপাশি অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী কৃষক

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য” সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটায় পারুলিয়া ইউনিয়নে বৈয়শা গ্রামে চিংড়ির পাশাপাশি ঘেরের ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে এক কৃষক।

সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার এক কৃষক এই (আর্লি ড্রাগন) তরমুজ চাষের সাথে যুক্ত রয়েছে। এই চাষ করতে যেমন বাড়তি কোন জমি লাগছে না, লাগছে না কোন জমির হারি।
কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি প্রতিবছর অসময়ের তরমুজ চাষ করে থাকি। আমি গত ৫বছর ধরে তরমুজ চাষের সাথে যুক্ত আছি। বিগত বছরের তুলনায় এই বছর তরমুজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

বর্তমান ৫০০ শত পিচ তরমুজ বিক্রির উপযোগী হয়েছে। প্রতিটা তরমুজ ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনে হবে। দুই একদিনের ভিতরে যা বাজার জাত করা হবে। বাজারে চাহিদা থাকায় প্রতিকেজি তরমুজ মূল্য ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত হবে বলে আশাবাদী।

তিনি আরো বলেন, চাষ করে বুঝলাম এটি একটি লাভ জনক ফসল খরচের তুলনায় ৩ ডাবল বিক্রি করা যায়।
দেবহাটা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী আলাউর রহমান সিদ্দিক বলেন,  দেবহাটা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে কয়েক জন কৃষকের মাঝে ২টি প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে তরমুজের বীজ সরবরাহ করা হয়। আর্লি ড্রাগন, বাংলালিংক তরমুজ প্রতি বিঘা জমিতে ১০০ গ্রাম থেকে ১শত ২০ গ্রাম বীজ রোপন করা যায়। এই অপসিজন তরমুজ বাজারে প্রতি কেজি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যাবে। অনেক শিক্ষার্থীরাও পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের ঘেরের নিজস্ব জমিতে এই তরমুজের চাষে ঝুঁকছে।


দেবহাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান বলেন, দেবহাটা উপজেলায় এই তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে আগামীতে আরো বৃহৎ আকারে চাষে কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হবে।
দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান জানান, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে কৃষরাও পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন নতুন এই ধরনের ফসল চাষের মাধ্যমে আমাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হচ্ছে। আগামীতে উপজেলার কৃষকদের এই তরমুজ চাষের জন্য আরও উদ্বুদ্ধ করা হবে।

মুক্ত/এসএ