২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

ধুনটের স্কুলছাত্রী শ্রাবণী এখন ওমর ফারুক!

ধুনটের স্কুলছাত্রী শ্রাবণী এখন ওমর ফারুক!

ধুনটের স্কুলছাত্রী শ্রাবনী এখন ওমর ফারুক নামে পরিচিত। সম্প্রতি তিনি নারী থেকে পুরুষ হওয়ার দাবি করেছেন। পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম দেওয়া হয়েছে ওমর ফারুক। তিনি বগুড়ার ধুনট উপজেলার সরুগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

তিনি মুক্ত প্রভাতকে জানান, প্রায় এক বছর আগে থেকে শরীরে বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করেন তিনি। এভাবেই তিনি নারী থেকে পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছেন। তিনি উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম পূর্বপাড়া এলাকার কৃষক খোকন মিয়ার বড় মেয়ে ছিলেন।

এ বিষয়টি জানাজানি হলে, দলে-দলে মানুষ শ্রাবনীকে একনজর দেখতে তার বাড়ি যাচ্ছেন। এ নিয়ে গ্রামবাসীর আগ্রহের শেষ নেই। এ ঘটনায় খুশি শ্রাবনীর বাবা- মা। কারণ এই কৃষক দম্পতির কোনো ছেলে সন্তান ছিল না।  

রোববার (২২ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রাম গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শ্রাবনির বাড়িতে ভিড় করছেন শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ। প্রায় এক বছর ধরে শ্রাবনীর আচরণে ছেলেদের মতো বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে তার পরিবার নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ছয় মাস ধরে চলা মেডিকেল পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে, শ্রাবনী শারীরিকভাবে একজন ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছেন।

শ্রাবনী আক্তার খুশি জানায়, মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তরিত হওয়ায় আমার কোনো দুঃখ নেই। বাবার কাজে সহযোগিতা করতে পারবো ভেবে আমি অনেকটা খুশি হয়েছি। আমার বর্তমান নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক। ভবিষ্যতে লেখাপড়া করে সরকারি চাকুরী করার আশা করে সে। 

শ্রাবনীর বাবা খোকন মিয়া বলেন, তিন মেয়ের মধ্যে সুমনা সবার বড়। আমার মেয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছেন। এটা সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, তার কুদরত। এতে আমি খুশি। কারণ আমার ছেলে ছিল না। তাই আল্লাহ্ এক মেয়েকে ছেলে বানিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়, ফলে বাড়িতে দলে দলে মানুষ ভিড় করা শুরু করে। ছেলে থেকে মেয়ে হওয়ার নাম পরিবর্তন করে ওমর ফারুক রাখা হয়েছে। পোশাক-পরিচ্ছদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বর্তমানে ছেলেদের পোশাক পরছে সে।  

এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এন.এ.এম আবুল বাসার বলেন, মাঝে-মধ্যেই ছেলে থেকে মেয়ে আবার মেয়ে থেকে ছেলে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটে থাকে। এটা সাধারণত হরমোনজনিত পরিবর্তনের কারণে ঘটে থাকে। শ্রাবনী আক্তার খুশির ক্ষেত্রে সে ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।