জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে আনার কলি নামের এক নারীকে রাণীশংকৈল উপজেলা মহিলা দলের কমিটিতে সদস্য সচিব করার অভিযোগ উঠেছে। আনার কলি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমানের কন্যা। অথচ ওই নারী রাণীশংকৈলের ভোটারই নন। উপজেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক কমিটিতে এমন স্বজনপ্রিতীর কারণে এতে দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
গোপনে গঠন করা এই কমিটির বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা মোয়াজ্জেম।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ২৪ নভেম্বর রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মিলনায়তনে রাণীশংকৈল উপজেলা মহিলা দলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরহাতুন নাহার, প্যারিস সাধারণ সম্পাদক নাজমা পারভীন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি মাহামুদুননবী পান্না বিশ্বাসসহ উপজেলা মহিলা দলের নেত্রীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ওই অভিযোগে দাবি করা হয়েছে, সভা শুরু হওয়ার মাত্র ১০ মিনিট আগে তাকে সভার বিষয়ে জানানো হয়। এছাড়া উপজেলা মহিলা দলের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্য সচিব করা হয় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বাসিন্দা আনার কলিকে। এছাড়া বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা মোয়াজ্জেমকে ২ নম্বর যুগ্ন আহবায়ক করা হয়।
মনোয়ারা মোয়াজ্জেম অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগষ্টের আগে যাকে রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। সেই ব্যাক্তি এখন মহিলা দলের নেত্রী হচ্ছেন। নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করেছেন। অথচ দলের ভালো সময়ে এসে পারিবারিক কমিটি করছেন নেতারা। তিনি নতুন করে কমিটি ঘোষণার দাবি জানান।
উপজেলা মহিলা দলের সদস্য সচিব আনার কলি বলেন, তিনি রাণীশংকৈল উপজেলার ভোটার নন। তবে ভোট বদলি করার আবেদন করেছেন। তার বাবা রাজনীতি করতে গিযে জেল খেটেছেন। তার মেয়ে হয়ে পদ না পেলে কে পাবে।
তিনি এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যদি ঠাকুরগাঁয়ের ভোটার হয়ে বিএনপির মহাসচিব হতে পারেন। তাহলে তিনি কেন অন্যে উপজেলার ভোটার হয়ে রাণীশংকৈলের রাজনীতি করতে পারবেন না?
জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফরহাতুন নাহার প্যারিস বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতেই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। চার সদস্যর আহবায়ক কমিটির পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে। তখন সব বিষয়গুলো দেখা যাবে।
মুক্ত/আর আই