পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য সাবেক উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক খান সাঈদ হাসান জ্যোতি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের করা গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী হওয়ায় রাজী না থাকায় নিজেই হলাম আসামী। আর এ জন্য চাকুরি হারিয়ে খাটতে হলে জেল।
২০২২ সালে দেড় লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে অবশেষে জেল থেকে বের হলাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ভারত থেকে এসেছিলেন তার বাবার হত্যাকান্ডের প্রতিশোধ নিতে। ১৫ বছর ধরে তিনি জনগনের উপর সেই প্রতিশোধ নিয়েছেন।
শেখ হাসিনার রাজনীতিই ছিল প্রতিহিংসার রাজনীতি। খান সাঈদ হাসান জ্যোতি শনিবার উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সাঈদ হাসান বলেন, জিয়াউর রহমান রাজনীতির মডেল পুরুষ। বেগম খালেজা জিয়া গণতন্ত্রের মা। তারেক রহমান আগামী দিনের সুষ্ঠু রাজনীতির ধারক ও সংস্কারক। তিনি বলেন দলের মধ্যে বিভক্তি থাকলে কখনই ঐক্য সম্ভব নয়।
কাজেই বিভক্তির রাজনীতি পরিহার করতে হবে। বিএনপিকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ সংগঠনে পরিনত করার জন্য সর্বস্তরের নেতাকমীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে।
উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহাব এর সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল কায়েস, উল্লাপাড়া উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আজাদ হোসেন, সলংগা থানা বিএনপি’র সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াসাত করিম নয়ন।