৬ নভেম্বর, ২০২৪

মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড ৭ জনের যাবজ্জীবন

মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড ৭ জনের যাবজ্জীবন

উল্লাপাড়ায় পূর্ব গোলযোগের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আলতাফ হোসেন মুকুল ও তার বৃদ্ধ মা রিজিয়া খাতুনকে হত্যার দায়ে হাফিজুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১।

উল্লিখিত দুইজনকে কুপিয়ে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এই আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ এ দন্ডাদেশ দেন। 

মৃত্যুদন্ডে দন্ডীত আসামী হাফিজুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের শাহজাহান প্রামানিকের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মহেশপুর গ্রামের মোঃ বাচ্চু মিয়া (৪৩), মাসুদ উল্লা ওরফে রতন (৪০), দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল (৫৫), রফিকুল ইসলাম (৬২), রহমত উল্লা পান্না (৪৩), দুলাল সরকার (৬০) ও বদিউজ্জামান (৬০)। এরা সবাই রায় ঘোষনার সময় উপস্থিত ছিলেন।  

উক্ত আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট জাহিদা সুলতানা বিথি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ২৬ জুন  রাতে সাবেক সেনা সদস্য আলতাফ হোসেন মুকুল ও তার বৃদ্ধ মা রিজিয়া খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে  এবং পায়ের রগ কেটে মরদেহ মেঝেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

পরদিন উল্লাপাড়া থানা পুলিশ মরদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করায়। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত আলতাফ হোসেন মুকুলের স্ত্রী মোছাঃ শামীম আরা অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে ২৭ জুন উল্লাপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেয়।

এরপর ২০ জন স্বাক্ষী আদালতে তাদের স্বাক্ষ্য উপস্থাপন করেন। বিচার কার্য চলাকালে আবুল কালাম আজাদ নামের এক আসামী মৃত্যুবরণ করলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। মামলাটি শুনানীর পর মঙ্গলবার উল্লিখিত বিচারক  কথিত ব্যক্তিদেরকে দন্ডাদেশ প্রদান করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউর এ্যাডভোকেট মো. আবু বক্কার সিদ্দিক ও সহকারী পিপি জাহিদা সুলতানা বিথি। আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনায় ছিলেন এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, এ্যাডভোকেট এস এম দেলোয়ার হোসেন মন্টু, এ্যাডভোকেট সেরাজুল ইসলাম আকন্দ ও এ্যাডভোকেট আসিফ আজাদ রাতুল।