১৭ অক্টোবর, ২০২৪

প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের আশ্বাসে রাস্তা ছাড়লেন শিক্ষকরা

প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের আশ্বাসে রাস্তা ছাড়লেন শিক্ষকরা

বেসরকারি অনার্স-মাস্টার স্তরের শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের আশ্বাস পেয়ে বুধবার রাত ১০টার দিকে রাস্তা ছেড়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। 

আরো পড়ুন————

» শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান

» বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জোর দাবি 

»জাতীয়করণসহ ১০ দফা দাবি পূরণ না হলে জানুয়ারি থেকে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা

দেশের বেসরকারি অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষক আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মো. মোস্তফা কামাল বলেন,  বেতনের দাবিতে তারা আন্দোলনে দাঁড়িয়েছেন। তবে পুলিশের রমনার ডিসি শিক্ষকদের আশ্বাস দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রধানি উপদেস্টার সাথে শিক্ষকদের স্বাক্ষাত করাবেন। সেই আশ্বাস পেয়েই শিক্ষকরা আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে বৃহস্পতিবার থেকে আবারো আন্দোলন শুরু হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা মুক্ত প্রভাতকে বলেন, সারাদেশে বেসরকারি অনার্স কলেজের সাড়ে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষকের এমপিও না থাকায় ৩২ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করে যাচ্ছেন। বেতনের আশায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত হননি।

আরো পড়ুন————

» জাল সনদধারী শিক্ষকদের বেতনের টাকা ফেরতের নির্দেশ

» বৈষম্যের আবর্তে ঘেরা এমপিও শিক্ষকদের জীবন

»  বদলি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের জন্য সুখবর

» আগে বদলি পরে গণবিজ্ঞপ্তি

» বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হবে: শিক্ষা উপদেষ্টা


বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স ফেডারেশনের সভাপতি নেকবর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক মেহরাব আলী মুক্ত প্রভাতকে বলেন, দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে অনার্স-মাস্টার্স স্তরের শিক্ষকরা বিনা বেতনে চাকরি করে আসছেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছেন। সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকেও নিয়মিত কোনো সম্মানি দেওয়া হয়না। শিক্ষকদের এসব করুন পরিণতির কথা শিক্ষা মন্ত্রণালয়  অবগত। বিগত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অনার্স-মাস্টার্স স্তর এমপিওভুক্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলেও আমলা রহস্যজনক কারণে এমপিওভুক্ত করেননি।

তিনি বলেন, দাবি আদায়ে শিক্ষাভবনের সামনে মঙ্গলবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছেন তারা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় আশ্বাস দিয়েছিল বুধবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। কিন্তু সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলেও কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। আন্দোলনরত অনেক শিক্ষক সড়কে শুয়ে পড়েছেন। এমপিও না পাওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শিক্ষকরা।