রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী কাশবন থেকে বাবা মহিউদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই মিলেছে ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান মুসা (১১)”র লাশ । এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিন মাদীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া আরজু ডুয়াটি গ্রামের মিরাজ মাদবরের ছেলে । বৃহস্পতিবার (২৭শে সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার সময় গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো.আলমগীর হোসেন ।
এসময় পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, নিহত মোঃ আব্দুর রহমান মুসা টঙ্গী গোপালপুর এলাকায় তার মা শরিফুন নেছার সঙ্গে পান্নু খাঁনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। প্রায় ১৬ বছর পূর্বে মহিউদ্দিন এর সঙ্গে বিয়ে হয় শরিফুন নেছার ।
তাদের দাম্পত্য জীবনে জন্ম হয় ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান মুছার। গেল ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছেলেকে জামা কিনে দেওয়ার কথা বলে মার্কেটে নিয়ে যায় মহিউদ্দিন । এর পর আর বাসায় ফিরে আসেনি তারা ।
নিখোঁজ ছেলের সন্ধান চেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন মোঃ আব্দুর রহমান মুছার মা শরিফুন নেছা । তারপর থেকেই শিশুটির সন্ধ্যানে নামে পুলিশের একটি দল । গেল ২৪ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরের ভাঙা থানা পুলিশ নিহত মোঃ আব্দুর রহমান মুছার বাবা মহিউদ্দিনকে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসা থেকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় ।
পরে খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ফরিপুরের ভাঙ্গা থানায় যায় । জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে তার ছেলেকে রাজধানীর তুরাগ থানাধীন দিয়াবাড়ী কাশবনের ভিতরে শ্বাসরোধ করে মেরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ঝোপের ভিতর ফেলে রেখেছে বলে স্বীকার করে ।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই ২৫শে সেপ্টেম্বর দিয়াবাড়ী কাশবনের ভিতর থেকে নিহত মোঃ আব্দুর রহমান মুছার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।