লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে একটি নিরাপদ স্থান বাংলাদেশ । শনিবার ( ১৭ই আগস্ট) রাজধানীর মগবাজারের এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, ড. নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ
মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি প্রমুখ ।
এসময় ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ আরও বলেন, ১৯৭২ সালের পর থেকে অদ্যাবধি আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের সদস্যরাই সংখ্যালঘুসম্প্রদায়ের জায়গা-জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে দখল করেছে, উপাসনালয় ধ্বংস করেছে।
পক্ষান্তরে তারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উপর তাদের দোষ চাপানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল, এখনও রয়েছে। আশা করি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা আর নতুনভাবে বিভ্রান্ত হবে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে একটি নিরাপদ স্থান হচ্ছে বাংলাদেশ ।
কারণ এদেশের ১৮ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলমান । এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, গত ৫ আগস্ট থেকে অদ্যাবধি ভারতের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর জুলুম হচ্ছে, তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে হৈচৈ করছে এবং যে ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছে, সেগুলো ভিত্তিহীন। তবে দেশে কিছু অনাকাঙ্ধিসঢ়;ক্ষত ঘটনা ঘটেছে।
কিছু কিছু জায়গায় ক্ষুব্ধ জনতা আওয়ামী জুলুমবাজ এবং গণহত্যাকারীদের উপর চড়াও হয়েছে। জনগণ ধর্মের বিবেচনায় কারো ক্ষতি সাধন করেনি । বরং গণহত্যাকারীর দোসরদের উপর আক্রমণ করেছে। এটা যুগে যুগে অনেক দেশে হয়েছে ।
আমি আবারও বলছি- সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হচ্ছে বাংলাদেশ । বিগত ১৫ বছর যাবত আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক প্রত্যেক স্তরে কিছু কিছু সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহার করে বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল, ব্যাংকের টাকা লুণ্ঠন, দুর্নীতি, টাকা পাচার, চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্য, বিরোধী দলগুলির ওপর অমানবিক অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন, চাঁদাবাজি,
অস্ত্রবাজি, জায়গা দখল, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সকল ক্ষেত্রে বিচারহীনতার পুঞ্জিভূত বেদনা সহ্য করে মানুষ নীরব ছিল । ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে এদেশের মানুষ আরেকবার দেশ স্বাধীন করেছে। এ ধরনের সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
আমাদের ছেলে-মেয়েরা এদেশের উপযুক্ত উত্তরসূরি। বর্তমান প্রজন্মকে নিয়ে আমরা গর্বিত। এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, সেনাবাহিনীকে বলতে চাই-আওয়ামী স্বৈরাচারী, গণহত্যাকারী, টাকা
লুণ্ঠনকারী, দুর্নীতিবাজ সাবেক মন্ত্রী, এমপি বা নেতা যারা বিভিন্ন সেনা নিবাসে আশ্রয় নিয়েছে বা লুকিয়ে আছে তাদের আয়না ঘরে রেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে অবহিত করেন এবং
আইএসপিআর এর মাধ্যমে সংবাদপত্রে খবরগুলি প্রকাশ করুন।
এতে আপনাদের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। এছাড়া বাংলাদেশের কোন নাগরিকের উচিত হবে না এই ধরনের জাতীয় শত্রুকে আশ্রয় দেয়া। কোন বাসায় এই ধরনের জাতীয় শত্রু পাওয়া গেলে আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধেও অনুরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে। আশা করি, এই জাতীয় শত্রুদের ধরিয়ে দিবেন ।