১৩ জুলাই, ২০২৪

নাজিরপুরে ছেলের হাতে মা খুন

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় ছেলের হাতে মা যুথিকা বালার (৭০) খুনের ঘটনা ঘটেছে। পিরোজপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রবিউল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। 

বৃহস্প‌তিবার রাত ১০টার দিকে নিহতের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যু‌থিকা বালা নাজিরপুর উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ন বালার স্ত্রী এবং খুনি জ্যোতিষ বালা (৩২) তাদের বড় ছেলে।

গতকাল শুক্রবার এ খবর পেয়ে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো: শরীফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মুকিদ হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদও র্সাকেল) মো: রবিউল ইসলাম, পিবিআই, সিআইডি ও ডিবি পুলিশসহ ঘটনাস্থল যান। 

এরপর তারা খুনি জোত্যিষকে আটক করেন। জোত্যিষের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে এক পর্যায়ে সে তিনি ঘটনা স্বীকার করেন এবং খুনে ব্যবহৃত দা বাড়ীর পাশের ডোবা থেকে বের করে দেন।

স্থানীয় ভাবে জানা যায়, নারায়ন বালার চার ছেলের মধ্যে দু’জন ভারতে থাকেন এবং অন্য দুই ছেলে স্থানীয়ভাবে ব্যবসা করেন। প্রতিদিন ওই দোকানের কাজ শে‌ষে রাতে জ্যোতিষ ও তার পিতা নারায়ন বাড়িতে যান, ঘটনার দিন রাতে জ্যোতিষ বাবার আগে বাড়িতে গিয়ে দা দিয়ে কুপিয়ে মাকে জখম করে নিজের চায়ের দোকানে ফিরে আসেন। এসে নিজেওে শিশু সন্তানা মেয়েকে নিয়ে পুনরায় বাড়ীতে 

আসেন এবং প্রতিবেশীদেও ডেকে বলে কে যেন মাকে কুপিয়ে যখম করেছে। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয় মেম্বার তরিকুল ইসলাম সেন্টুসহ পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের সহযোগিতায় যুথিকা বালাকে গুরুত্বও অবস্থায় নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ নিয়ে আসে।

কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় প্রেরন করে। খুলনা নেয়ার পথে যুথিকা মারা যান। 

এ সময় জেলা পুলিশ ও নাজিরপুর সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে খুনি খুনের লোমহর্ষক বর্নণা দিয়ে বলেন,‘আমার মায়ের খুনের জন্য আমি নিজেই দায়ী। আমার মা আমাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতেন। আমার স্ত্রীকেও নির্যাতন করায় স্ত্রী চলে গেছে। তাই আমি আমার মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছি।’ 

এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেসব্রিফিং করা হয়েছে।