ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলালের সঙ্গে দেখা করে বের হওয়ার সময় দুই যুবককে পিস্তল সহ দেখতে পেয়ে জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। ঘটনাটি রবিবার (৭জুলাই) রাত দশটা ঘটে ।
জানাযায় ঐদিন ধর্মমন্ত্রী নির্বাচনে এলাকা ইসলামপুর পৌর শহরের অবস্থিত জেলা পরিষদ ডাকবাংলোতে অবস্থান করছিলেন।
এ সময় তানভীর আহমেদ তপু (৩৫) পিতা- হাজী আবুল হাসেম, সাং- বয়রা ডাংগা, নিহাল আহমেদ ললাট (২৫) পিতা- আলতাফুর রহমান, সাং- প্রাচুরপাড়া উভয়ের থানা-মেলান্দহ, জামালপুর। যুবক দয় এসে ধর্মমন্ত্রী সাথে সাক্ষাৎ করেন।
তারা বের হয়ে যাওয়ার পথে লিটন দাস নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীর নজরে আসে পিস্তলের মত কিছু একটা। এ সময় অন্য নেতা কর্মীরা দুই যুবককে আটক করে পকেটে তাদের পিস্তল পায়। এ সময় সময় উপস্থিত জনতা গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয়।
ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুমন তালুকদার জানান, দুই যুবক ধর্মমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বের হয়ে যাওয়ার সময় জুতা পরতে গেলে তাদের এক জনের পেছনে রিভলবার সদৃশ কিছু দেখতে পেয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাদেরকে মারধর করে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই যুবককে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল গ্যাস লাইট উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান।
ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল বলেন, আমার কাছে আসছে, দেখা করেছে ছবিও তুলেছে। এরা যাবার সময় জুতা পায়ে দেয়ার সময় তাদের কাছে রিভলভার মতো বস্তু দেখে। তবে আটককৃত তপু পরিবারের দাবি, তপু মন্ত্রীকে বাবা বলে ডাকেন। ২০১৪ সালে সে সড়ক দুর্ঘনায় আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিল।
সে সময় তিনি এমপি ছিলেন। তিনি ঢাকায় যাবার সময় তাকে সেখানে তুলে নিয়ে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে যান। তখন থেকেই মন্ত্রীর সাথে তার বাবা ছেলে সর্ম্পক। তিনি ইসলামপুরে আসলেই সে দেখা করতে আসে। কিন্তু তার সাথে যে ছেলেটি এসেছে তার কাছে পিস্তলের মতো বস্তু পেয়েছে।