ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) খালেদা জিয়া হলে আকস্মিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। হলের পুরাতন ব্লকের সার্কিট বোর্ড থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়।
হলে থাকা ছাত্রীদের মাঝে এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। তবে এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি।
সোমবার (৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের খালেদা জিয়া হলে সকাল ৬ টা ৫০ এর দিকে এই শর্ট সার্কিটের ঘটনা ঘটে। এতে হলের পুরাতন ব্লকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এর আগে গতকাল রাতেও শর্ট সার্কিট হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ হলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ছোট্ট শর্ট সার্কিট হয়েছিলো। তারপর মিস্ত্রি এসে ঠিক করে দিয়ে গেলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়।
কিন্তু সকালে আবার হঠাৎ করে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায় এবং আগুন আশেপাশে কয়েক মিটারের জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশে থাকা কয়েকটি বালতিও পুড়ে যায়। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা।
এ বিষয়ে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, কালকে রাতেও শর্ট সার্কিট হয়েছিলো কিন্তু আগুন বড় হয় নি তেমন। সকাল ৬:৫০ এর দিকে আবার শর্ট সার্কিট হলে ট্রান্সমিটার জ্বলে যায় এবং আগুনও বড় করে ছড়ায়। তারপর আধাঘন্টা পর হল কর্তৃপক্ষ আসে।
তিনি আরও বলেন, হলে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী থাকে কিন্তু হলে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দিন এ বিষয়ে বলেন, ইন্টারনাল ফল্টের কারণে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, আমরা এখানে আছি কাজ করছি, শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি অনেক পুরানো হল হওয়ায় নির্মাণের সময় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের কথা সেভাবে চিন্তা করা হয়নি।
বর্তমানে যে নতুন বিল্ডিং গুলো হচ্ছে সেগুলোতে আমরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা রেখেই তৈরি করছি। প্রভোস্টের সাথে আলোচনা করে খুব দ্রুতই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র লাগানো হবে।
খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এখানে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। আমি হলেই আছি এখন।
সাথে সাথে মিস্ত্রি ডেকে ঠিক করিয়ে নিচ্ছি। এখানে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।
অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, খুব দ্রুতই আমরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র লাগাচ্ছি। ইতোমধ্যে একটি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ ও হয়েছে আমাদের।