৫ জুলাই, ২০২৪

নাসিরনগরে তীব্র নদী ভাঙনে আতঙ্কে নদী পাড়ের মানুষ

নদীর এপার ভাঙে ওপার গড়ে, এইতো নদীর খেলা। নদীর ভাঙা গড়ার খেলা আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ দেখে মরমী শিল্পীরা এই গানটি গেয়েছিলেন।

কিন্তু তৎকালীন সময়ে স্বপ্নের এই গানের কথামালা যে বাস্তবে রূপ নেবে তা ক’জনই বা ভেবে ছিলেন।তা বাস্তবে রুপ নিচ্ছে ব্রাহ্মণ বাড়িয়া জেলার নাসিরনগর চাতল পাড়ে।

সিলেটে উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা ও কুশিয়ারার পানি প্রবল বেগে  প্রবাহিত হয়ে কিশোর গঞ্জের অষ্ঠগ্রাম ও ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ধলেশ্বরীও মেঘনার তীব্র স্রোতে চাতল চকবাজেরর অর্ধেকের চেয়ে বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।

নাসিরনগর উপজেলায় উজান থেকে সিলেটের বন্যার পানি নেমে আসায়  দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন । ধলশ্বলী,মেঘনার-নদীর পানি বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নদী ভাঙন।
নদী গর্ভে বিলীন হতে চলেছে মসজিদ,চক বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুতের খুঁটি, রাস্তা-ঘাট, , বসতভিটা ও ফসলি জমিসহ অসংখ্য গাছ পালা ও স্থাপনা।

ভাঙ্গনের কারণে দিশেহারা দূর্গাপুর,জয়নগর, বিলের পাড়,,চকবাজার পাড়া,বাঘাইয়া ,চাতলপাড় গ্রামের মানুষ, চাতলপাড় বড় বাজারের ব্যবসাসায়ীসহ নদীর পাড়ের মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে  উপজেলার চাতল পাড়  ইউনিয়নের নদীর পাড়ের ,মানুষের সাথে আলোচনা করে জানা যায় কিশোর গঞ্জের জেলার অষ্ঠগ্রাম উপজেলার  বাঙ্গাল পাড়া ইউনিয়নের নোওয়াগা গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিম পার্শ্বে মেঘনার নদীর উত্তর পাড়ে একটি চর জেগে উঠায় নদীর গতি পথ পরিবর্তীত হয়ে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তীব্র নদী ভাঙন।জেগে উঠা চরে

অষ্ঠগ্রাম উপজেলার লোকজন ব্রিক ফিল্ড তৈরির করার কারণে দূর্গাপুর,চকবাজার পাড়া,বাঘাইয়া ,চাতলপাড় গ্রামের মানুষ, চাতলপাড় বড় বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ  নদীর পাড়ের মানুষের মাঝে নদী ভাঙনের  আতঙ্কে রয়েছে চার শতাধিক পরিবার।

পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তীব্র নদী ভাঙন এতে করে আতঙ্কে রয়েছে শতাধিক পরিবার।

গ্রামবাসীরা জানান, পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বাড়ার সাথে সাথে  ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ভাবে ভাঙন আরো ভয়ানক রূপ ধারণ করতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এ গ্রামগুলো নিশ্চিহ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তাই এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত  ভাঙন রোধে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ।স্থানীয় সাংসদ  এসএকে একরামুজ্জামান চাতলপাড়ের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে স্থানীয় লোকদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কিছুদিন পূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে নদী ভাঙ্গন রোধ করার জন্য পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য আমি সংসদে কথা বলবো এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।