চরম আতঙ্কে দিন পার করছে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের সীমান্তবর্তীর বাসিন্দারা । রাখাইন রাজ্যে মটারশেল ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপছে এসব এলাকা। সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ। তবে মিয়ানমার তাদের জলসীমানায় ৩ টি জাহার নোঙর করে রেখেছে। এসব দৃশ্য দেখে রীতিমতো তটস্থ হয়ে পড়েছে সাধারণ জনসাধারণ।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে নোঙর করা ৩ টি জাহাজ স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের আওতাধীন সেন্টমার্টিনের বিচকর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তিনি গত (১৩ জুন) বৃহস্পতিবার রাত থেকে মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চল থেকে র্কিছুক্ষণ পর পর গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান এবং শুক্রবার সকালে মিয়ানমার জলসীমায়
৩ টি যুদ্ধ জাহাজ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানানো জানানো হয়। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো; মজিবুর রহমান জানান- মিয়ানমার জলসীমানায় দুইদিন ধরে যুদ্ধ জাহাজ নোঙর করে রেখেছি।
তিনি উল্লেখ্ করে বলেন, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে তিনবার বাংলাদেশী নৌযান ট্রলার ও স্পিডবোট লক্ষ করে এলোপাথারি গুলি ছোড়েন। এত করে দ্বীপবাসির মধ্যে আরও বেশী আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এরপর আবার যুদ্ধ জাহাজ দেখে দ্বীপবাসির মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক বেড়েছে।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো; আদনান চৌধুরী জানান- তাদের জলসীমায় মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ অবস্থান করায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে আপাতত যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সার্ভিস ট্রলারগুলোকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দ্বীপে আবার যাতায়াত শুরু হবে।
টানা সাড়ে তিন মাস ধরে মিয়ানমারের সরকারির বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে লড়াই চলছে। মঙডু টাউনশিপের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে দুটি শহর এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী বডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ১৪ টি সীমান্ত চৌকি, রাচিডং-বুচিডং টাউনশিপের বেশ কয়েকটি থানা পুলিশ ফাড়ি দখলে নিয়ে মংডু দখলের জন্য লড়ছে তারা। মংডু বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় তাদের মধ্যকার লড়াইয়ে গুলাগলির শব্দসহ অস্ত্রের ঝনঝনানির শব্দে আতঙ্কে দিন পার করছে দ্বীপবাসিরা।