১৪ জুন, ২০২৪

সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট, জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী 

সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট, জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী 

৯ দিন ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পণ্যবাহী ট্রলার চলাচল বন্ধ থাকার কারণে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। দ্বীপের বেশিরভাগ দোকানে সবজি নেই। তবে গতকাল ৪টি ট্রলারে করে কিছু খাদ্যপণ্য নিয়ে এসেছে ব্যবসায়ীরা। সেগুলোর দাম এখন আকাশচুম্বী। বিক্রি করছে কয়েকগুণ বাড়িয়ে।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে সেন্টমার্টিন বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা গেছে, বেশিরভাগ দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পণ্যের অভাবে। এছাড়া যে দুটি দোকানে সবজি নিয়ে এসেছে সেগুলোর দাম অনেক বেশি। 

তাদের একজন সবজি দোকানদার মো. হাশেম বলেন, আমরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে মালগুলো ট্রলারে নিয়ে এসেছি। আমাদের কয়েকগুণ খরচ বাড়িয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। আমার দোকানে, লেবু ১০, ঢেঁড়স, ১০০, কচু ১৪০, মরিচ ২০০, পেঁপে ৬০, করলা ১৪০, শসা ১০০ এবং চিচিঙ্গা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

আরেক সবজি বিক্রেতা মো. আরিফের দোকানে আলু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, দেশি আলু ৯০, মরিচ ৩২০, শসা ১২০, চিচিঙ্গা ১২০, লাউ ১০০, টমেটো ২৫০, কচুরলতি ১৩০, লেবু ১০, পেঁয়াজ ১০০ এবং রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

মো. আরিফ বলেন, একসপ্তাহ ধরে কোন সবজি পাওয়া যায়নি। এগুলো বেশি দামে, কয়েকগুণ খরচ দিয়ে আমরা নিয়ে এসেছি। এগুলোও পাওয়া যাচ্ছে না। কাড়াকাড়ি করে নিয়ে গেছে। 

একজন ক্রেতা মো. তৈয়ব বলেন, জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। কয়েকদিন আগে কিছুই পাওয়া যায়নি। কালকে নিয়ে এসেছে বলেই আজকে পাচ্ছি। আমাদের জিনিসপত্র নিয়ে আসার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে। 

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকানদার রশিদ ব্রাদার্স এর মামুন রশিদ বলেন, আমার দোকান সবচেয়ে বড় দোকান। কিন্তু আমাদের দোকানে কোন সবজি নেই। চালও নেই। কোনকিছু আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে না। সবকিছুর সংকট।

সেন্টমার্টিন বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমইউপি হাবিব খান বলেন, ৯ দিন ধরে সেন্টমার্টিনে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে এখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। দুইটি দোকানে কিছু সবজি নিয়ে এসেছে কিন্তু এগুলোর দাম অনেক বেশি কারণ তাদের খরচ বেশি হয়েছে নিয়ে আসতে। এছাড়া বেশিরভাগ দোকানে পণ্য না থাকার কারণে বন্ধ রয়েছে। 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত বিচ কর্মীদের সুপারভাইজার জয়নাল আবেদীন বলেন, জিনিসপত্র না থাকায় বেশিরভাগ দোকান এখন বন্ধ রয়েছে। যেগুলো আছে সেগুলোর দাম অনেক বেশি। 

এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন জানিয়েছেন, খাদ্যপণ্য নিয়ে কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে খাদ্যপণ্য এবং মানুষ পারাপারের জন্য জাহাজ যাচ্ছে। সংকট কেটে যাবে।