২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সরকারি চাকুরিজীবির বিরুদ্ধে মোটারসাইকেল আত্মসাতের অভিযোগ

শাকিবুল ইসলাম (২৫) নামের সরকারি এক চাকুরিজীবির বিরুদ্ধে সাড়ে ছয় লাখ টাকা মূল্যের আরওয়ান-৫ মডেলের একটি মোটারসাইকেল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগি আনিসুর রহমান বাদি হয়ে গুরুদাসপুরের আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার সঠিক তদন্ত, মোটরসাইকেলটি উদ্ধার এবং অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তি দাবি জানিয়ে রোবিবার সকালে  নিজের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলণ করেছেন ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান। তিনি গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে। অভিযুক্ত শাকিবুল একই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে সরকারি চাকুরি করছেন। সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মামলার নথি ও আনিসুর রহমানের লিখিত বক্তব্যে জানাগেছে, বেশকিছু দিন আগে ছয় লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের আরওয়ান-৫ মডেলের একটি মোটরসাইকেল কেনেন আনিসুর রহমান। ছুটিতে এসে গত মাসের ১০ তারিখে মোটরসাইকেলটি চালানোর জন্য নেন শাকিবুল। ওই দিন সন্ধ্যায় মোটারসাইকেলটি সড়কে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ ভেঙ্গে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশী বৈঠক হলেও ক্ষতিপূরণ বা মোটরসাইকেলটি দিতে রাজি হননি শাকিবুল ও তার পরিবারের লোকজন।

ভুক্তভোগি আনিসুর রহমান বলেন, তার মোটরসাইকেলটি শাকিবকে নিতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু শাকিব তা মানেননি। উপরন্ত জোরপূর্বক মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান। ফিরে এসে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলেন। মূলত সরকারি চাকুরি করায় ছুটিতে বাড়ি এলেই শাকিবুল নানা ধরণের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, মৌখিকভাবে অনেকবার বিষয়টি নিয়ে সুরাহার কথা বললেও প্রভাবখাটিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান শাকিব। সবশেষ মোটরসাইকেলটি আত্মসাতের পাঁয়তারা করায় তিনি আদালতের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি শাকিবুলের বিচার দাবি কনে।

অভিযুক্ত শাকিবুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, মূলত তিনি আনিসুরের মোটরসাইকেল নিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। একারণে মোটরসাইকেলটির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেটি মেরামতের পর মোটরসাইকেলটি তার বাড়িতেই রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মোটারসাইকেলের বিষয়টি নিয়ে দুই দফায় এলাকায় সালিশ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে নতুন মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার কথা বলেছিলেন শাকিবুলের পরিবার। কিন্তু এখন সব কিছুই অস্বীকার করছেন তারা।