ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা. শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছে। ২ এপ্রিল বেলা ১১ টার দিকে ৩ সদস্যের এ কমিটি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আসেন। এসময় কমিটির সামনেই কর্মচারীরা তত্ত্বাবধায়কের বিচার ও অপসারন দাবি করে বিক্ষোভ করেছে।
১০০ শয্যার সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীসহ মোট ১৮ জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে প্রেরন করে। ২০২৩ সনের ১৮ ডিসেম্বর এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ লোকমান হাকিমকে তদন্ত কমিটির সভাপতি করে এ কমিটি গঠন করে। কমিটির অপর দুজন সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ডা. সাইদুল ইসলাম ও মাহমুদ হাসান।
গতকাল তদন্ত কমিটির হাসপাতালে আসার আগেই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে প্রধান গেটের সামনে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এসময় তারা তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদের বিচার চাই, বেতন ভাতা বন্ধ কেন জবাব চাইসহ তার বদলী ও তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি জানিয়ে দূর্নীতিবাজ তত্ত্বাবধাককে চাইনা চাইনা শ্লোগান দিতে থাকে। ১১ টার দিকে কমিটি ঝালকাঠি হাসপাতাল চত্তরে প্রবেশ করেন। কমিটির সদস্যরা সরাসরি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার রুমে প্রবেশ করেন।
এ সময় কমিটি প্রধান ডা. লোকমান হাকিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ি বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক এ কমিটি গঠন করেছে। তাই আমরা এ বিষয়ে অভিযোগকারিদের সাথে কথা বলে তথ্য উপাত্ত স্বাক্ষ্য প্রমানাদি সংগ্রহ করে তদন্ত প্রতিবেদন পরিচালক মহোদয়ের কাছে দাখিল করব। আমাদের দায়িত্ব এ টুকুই।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের প্রায় ১৮ র্কমর্কতা স্বাক্ষরিত ঐ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তিনি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, ২৬ র্মাচসহ জাতীয় দবিস পালন করে না বরাদ্দ না থাকার অযুহাতে। তত্ত্বাবধায়ক দূর্নিতির মাধ্যমে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে আয়ন ব্যায়ন কমিটির অনুমোদন না নিয়ে একাই স্বাক্ষর করে অর্থ উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন। অনাকাক্ষিত ভ্রমন ব্যায় বিল, বিধি অনুযায়ি সরকারি বাসা ভাড়া কর্তন না করা, র্কমর্কতা র্কমচারীদরে সাথে অসদাচারন, রোগীদরে সাথে অসৌজন্য মূলক আচরণ, র্কমস্থলে অনিয়মিত অনুপস্থিতি, ব্যক্তগিত কাজে সরকারি এ্যম্বুলেন্স ব্যবহারসহ সরকারি নিয়মের বাহিরে সচ্ছোচারতিা করে আসছেন।
এছাড়া ষ্টাফদের ভয়ভীত দেখিয়ে একাধকি তদন্ত কমিিট গঠন করে হয়রানী, তার খেয়াল খুশি মতো ষ্টাফদের বেতন ভাতা বন্ধ, উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা অনুষ্ঠান শষে হবার পর প্রদানসহ তিনি যোগদানরে পর থেকে বিভিন্ন র্দূনীতি ও অনতৈকি কাজে জড়িয়ে পরেন। আউট সোর্সিং ড্রাইভার মো. শাহাদাৎ হোসেনের মাধ্যমে রোগীদের নিকট হতে বিপুল পরমিান টাকা নিয়ে থাকনে। যা সরকারি নিয়মেরর পরপিন্থি বলে অভিযোগে উল্লখে করা হয়।
আরো উল্লেখ করা হয় এসব নিয়ে দৈনিক পত্রিকা ও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশতি সংবাদ অভিযোগের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ডা. শামমি আহমেদের রংপুরে সভিল র্সাজন পদে থাকা কালীন ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং সখোন থেকে বদলী হয়ে ঝালকাঠি আসার সময় সরকারি ল্যাপটপটি চার্জ তালকিায় জমা না দিয়ে ঝালকাঠি নিয়ে আসার কথাও অভেিযাগে উল্লখে রয়েছে। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক ডাক্তার শামিম আহমেদ কথা বলতে রাজি হননি।