১৭ মার্চ, ২০২৪

আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার

শনিবার ভোরে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ ঘেরাও দিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ সময় এদের নিকট থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলো উল্লাপাড়ার গয়হাট্টা গ্রামের মাজেদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া সোহেল (৩১), একই গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিক (২০), শুকুর আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান (২৫), সিরাজগঞ্জের রায়পুর গ্রামের হাবিবর রহমানের ছেলে হাসিরুল ইসলাম হাসু (২৯) এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সুবর্ণসারা গ্রামের সোবাহান মন্ডলের ছেলে যুবায়ের হোসেন পারভেজ (৩০)।

উল্লাপাড়া উপজেলার গজারিয়া গ্রামের পাশে আব্দুর রাজ্জাকের পিভিসি ইটভাটা থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার বেলা আড়াইটায় উল্লাপাড়া মডেল থানায় উল্লাপাড়া পুলিশ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর এক সংবাদ ব্রিফিং এ উপরোক্ত তথ্য জানিয়ে বলেন, শনিবার ভোর ৪টার দিকে ১৪/১৫ জনের আন্তঃজেলা ডাকাতদল কথিত ইটভাটার পাশে বসে পার্শ্ববর্তী ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে বাস থামিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশের ৪ উপ-পরিদর্শক ও ১২ পুলিশ সদস্য মিলে দ্রুত পিভিসি ইট ভাটায় গিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদেরকেঘেরাও করে। এ সময় ৫ জনকে ধরা সম্ভব হলেও অপর ডাকাতেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। 

ধৃত সুমন মিয়া ৬ মাস আগে উল্লাপাড়ারচৌকিদহ সেতুতে এক বিকাশ এজেন্টকে পায়ে গুলি করে ৫ লাখ ছিনিয়ে নিয়েছিল এবং এই ডাকাত কিছুদিন আগে উল্লাপাড়া থানার এক পুলিশ সদস্যকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে।

গ্রেপ্তার ডাকাতদের বিরুদ্ধে উল্লাপাড়া ও পার্শ্ববর্তী থানাগুলোতে একাধিক ডাকাতি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে। ডাকাতদের নিকট থেকে হাসুয়া, চাপাতি, রামদা, বড় চাকু, ড্যাগার, লোহার রড, মুখোশ, রশিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। 

উল্লিখিত ডাকাতদেরকে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন সহকারী পুলিশ সুপার। সংবাদ ব্রিফিং এ উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।