১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ফুলবাড়ীতে খেলাধূলায় বাঁধাদানের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ফুলবাড়ীতে খেলাধূলায় বাঁধাদানের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত মাঠে খেলাধূলা করার সময় কিশোর ও যুবকদেরকে খেলাধূলায় বাঁধাদানসহ হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জুম্মার নামাজের পর মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর হাজীর মোড় এলাকার ফুলবাড়ী সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত মাঠে গতকাল শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা ফুটবল খেলতে যায়। মাঠে কোনো ধরনের খেলাধূলা করা যাবে না বলে কিশোর ও যুবকদের বাঁধাদানসহ ঝাড়– দিয়ে মারতে যান স্থানীয় জাগরণী নারী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুফিয়া বেগম স্মৃতি। এরই প্রতিবাদে জুম্মার নামাজের পর কিশোর ও যুবকসহ স্থানীয় কিছু লোকজন হাজীর মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। 

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ফাইভ স্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক আল আমিন বিন আমজাদ, অর্থ সম্পাদক আশরাফুল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক শাহজাহান আলী প্রমুখ।

আল আমিন বিন আমজাদ বলেন, দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি কলেজের পরিত্যক্ত মাঠে স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা ফুটবলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা করে আসছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে স্থানীয় জাগরণী নারী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুফিয়া বেগম স্মৃতি খেলাধুলা বন্ধের জন্য বিভিন্নভাবে অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে আজ (শুক্রবার) সকালে কিশোর ও যুবকদের খেলাধুলা বন্ধ করার জন্য হুমকিসহ ঝাড়– দিয়ে তাদেরকে মারতে যান ওই সুফিয়া বেগম স্মৃতি। এরই প্রতিবাদে কিশোর-যুবকসহ স্থানীয়রা প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হবে।
 

এ ব্যাপারে জাগরণী নারী কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুফিয়া বেগম স্মৃতিকে তার ০১৩০৫ ২২২০৪৬ নম্বরের মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, সমবায় অফিসারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি আসলে এটা নিয়ে কী করা যায় সেটা করা হবে। এর কিছু বলা যাবে না বলে ফোন কেটে দেন।   

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে আগে কেউ কোনোদিন কোন অভিযোগ করেননি। আজই ঘটনাটি জানা গেছে। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, ফুটবল খেলতে বাঁধাদানের বিষয়টি আজকেই জানা গেছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।