ঢাকা থেকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হওয়া আটজনের একটি ডাকাত দলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ বেশকিছু সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের গুরুদাসপুর অংশের কাছিকাটা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের নামে ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব ডাকাত সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতদলের সদস্যরা মহাসড়কে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশ বলছে, একটি ছোট ট্রাকে চেপে ঢাকা থেকে ডাকাতির উদ্দ্যেশে বের হন গ্রেপ্তারকৃতরা। এসব ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাতেও সিরাজগঞ্জ এলাকা বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক হয়ে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল। এসময় তারা মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ যাত্রীবাহী বাস এবং ব্যবসায়ীক ট্রাক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের একটি দল মহাসড়কের গুরুদাসপুর অংশের কাছিকাটা টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান চালায়।
এসময় ডাকাতদলের কাজে ব্যবহৃত টাটা কম্পানির একটি ছোট ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ন-১৩-০৪১১), তালা কাটার যন্ত্র, হেক্সোমেশিন, ৭টি হেক্সোব্লেড ও ২ টি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার খোদাইবাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৬৬), বরিশালের হিজলা উপজেলার চর-নরসিংহপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে (ট্রাক ড্রাইভার) ওলি উদ্দিন (৩২), ঢাকার কামরাঙ্গীর চরের নবীনগর এলাকার মৃত আব্দুল আওয়ালের ছেলে ইমরান খান (২৩), জয়পুরহাট সদরের মুজিবনগর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোসলেম (৪৩), গাইবান্ধার পলাশবাড়ির কেশবপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল গফ্ফার (৪২), জাইতরবালা গ্রামের আসকর আলীর ছেলে মজনু মিয়া (৩৪), শকুনা কেশবপুর গ্রামের মংলার ছেলে অমল কুমার (২৭) এবং একই উপজেলার চকবালা গ্রামের আমিনের ছেলে ইমরান হোসেন (১৮)।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল হোসেন জানান গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি করে আসছিলেন। গুরুদাসপুর উপজেলা এলাকাতেও ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল। তাছাড়া গ্রেপ্তারকৃতদের নামে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, দস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।