৩ নভেম্বর, ২০২৩

সিংড়ায় শীতের শুরুতে ভাপা পিঠার দোকানে ভিড়

সিংড়ায় শীতের শুরুতে ভাপা পিঠার দোকানে ভিড়

চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ভোর ও সন্ধ্যায় কুয়াশা পড়ছে। গত দুই সপ্তাহ যাবৎ এ কুয়াশার মধ্য দিয়ে শীতের শুরু হয়েছে। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। ভোর ও সন্ধ্যায় নানা বয়সী মানুষ পিঠা খেতে আসছেন পিঠার দোকানে। ঘরে তৈরি পিঠার পাশাপাশি অনেকে রসনা বিলাসের জন্য রাস্তার মোড়ে-মোড়ে জমে উঠে বাহারি পিঠার দোকানে ভিড় করছেন।

সিংড়া উপজেলাজুড়ে ফুটপাতের দোকান, রাস্তার পাশে, অলিতে-গলিতে ও মোড়ে-মোড়ে জমে উঠেছে এসব শীতের পিঠার দোকান। সারাবছর কম বেশি পিঠা বিক্রি হলেও শীত এলে বেড়ে যায় ক্রেতাদের আনাগোনা। পিঠাপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে এসব দোকান।

শীতের এ মৌসুমে মুখে জল আনা পিঠা-পুলির দোকানে ভিড় করছে শিশু-কিশোর, বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। তারা পিঠা খেতে খেতে মজার গল্পে মেতে ওঠেন।

সিংড়া পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড, চকসিংড়া, সোহাগবাড়ি, কতুয়াবাড়ি, মহেশচন্দ্রপুর, বালুয়া-বাসুয়া, দমদমা, মাদরাসা মোড়, বাজার ও বুড়াপীরতলা মোড়ে অন্তত শতাধিক পিঠার দোকান রয়েছে। নারিকেল ও খেঁজুর গুড়ের তৈরি ভাপা, চিতই, ঝাল-মসলা, সাদাসহ তেলের পিঠা, দুধ পিঠা, মাশকালাইয়ের রুটি, ডিম রুটি, নানা রকম মসলার তৈরি ধনিয়া পাতার চাটনিসহ বাহারি সব পিঠা পাওয়া যায় এসব দোকানে।
 
পৌরসভার নিংগইন মহল্লার বোরহান উদ্দিন বাবু বলেন, ১০ টাকায় নারকেল-গুড় দিয়ে সুস্বাদু ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। ভালো লাগে, তাই নিয়মিত খাই। চকসিংড়ার যুবক মো. রানা  বলেন, এ পথে যাওয়ার সময় ভাপা ও চিতই পিঠার পসরা সাজানো দেখে ভালো লেগেছে। এসব পিঠা খেয়ে অনেক মজা পেয়েছি।

জিন্নাহ হোসেন ও মৌসুমি আক্তার নামের দুজন ক্রেতা বলেন, আমরা প্রায়ই এখানে পিঠা খাই। চাল ভেঙে আটা করে পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয় না। ঝামেলা ছাড়া স্বল্প দামে হাতের নাগালে এখন পিঠা পাই। তাই এসব পিঠাই আমাদের ভরসা।

সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পিঠা বিক্রি করেন মুক্তার হোসেন, নইমুল ইসলাম ও মাসুম আলী। নইমুল ইসলাম বলেন, শীতকালে পিঠা বিক্রি করে থাকি। অন্য সময় অন্য কাজ করি। পিঠা বিক্রির আয়ে সংসার চলে। শীত বাড়লে পিঠা বিক্রিও বেড়ে যায়।