শিবগঞ্জে রিক্সাচালকের রিক্সায় পাওয়া মোটা অংকের ডলার কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে কোটিপতি হয়েছে এক ইউপি সদস্য।
মালিককে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য উক্ত ডলার ফেরত চাইলে পাল্টা রিক্সা চালককে প্রাণ নাশ সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে আসছে প্রায় নয় বছর ধরে।
প্রতিকার চেয়ে থানায় একাধিকবার অভিযোগ ও ডায়রী করেও কোন লাভ না হওয়ায় অবশেষে পুলিশ সুপারের নিকট নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন।
গত আট অক্টোবর উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর উপরটোলা গ্রামের মৃত দানেশ আলির ছেলে মোশারফ হোসেনের স্বাক্ষরিত ও গত নয় অক্টোবর ডাকঘর হতে একনলেজমেন্ট করা (ক্রমিক নং ১৭৫) চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি আবেদন সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৪ সালে মোশারফ হোসেন ঢাকায় রিক্সা চালানোর সময় ছয় ফেব্রুয়ারি এক যাত্রীর ফেলে যাওয়া একটি মানিব্যাগ পাই।
মানিব্যাগটি ফেরত দেয়ার জন্য চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় মোশারফ হোসেন।
পরে ব্যাগটি খুলে মোটা অংকের ডলার, একটি সিম কার্ড,একটি এটিএম কার্ড, সিটি ব্যাংক লিমিটেড এর এক কর্মকর্তার একটি পরিচয় পত্র ও তিনটি ব্যাংকে চেক ও রিসিভ বই পাওয়া যায়।
গত সাত অক্টোবর ২০১৪ শুক্রবার বাড়ি এসে আমার প্রতিবেশী কালু মেম্বারের ছেলে সবুজ আলি ওরফে সুজন মেম্বারকে বলি।
তিনি জুমার নামাজের পর আমার বাড়ি এসে সেগুলি দেখে মালিকের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে নিয়ে যায়। পরে ডলারসহ ওইগুলি ফেরত চাইলে বিভিন্ন টালবাহনা করে সময় ক্ষেপণ করে।
এক সময় এগুলি ফেরত চাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমরা দুই ভাইকে কয়েকদিন মারপিট করে এবং বলেন যে এরপর এগুলি ফেরত চাইলে তোদের প্রাণে মেরে ফেলবো।
এক পর্যায়ে তিনি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমাকে তুরস্কের একটি মোটা অংকের নোট নিতে বাধ্য করে।
এ ঘটনায় আমি শিবগঞ্জ থানায় একাধিকবার অভিযোগ ও ডায়রী করেও কোন লাভ হয়নি।
অবশেষে আমি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে রাজশাহীর জেলার গোদাগাড়িতে অসহায় জীবনযাপন করছি। তবে মোবারকপুর উপরটোলা গ্রামে আমার ভাইকে জোহরুল ইসলামকে হুমকী দেয়া অব্যাহতি রেখেছে।
মোবারকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ তৌহিদ মিয়াসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকেই জানান এ ঘটনার পর থেকে অর্থনৈতিকভাব সবুজ আলি ওরফে সুজন মেম্বার ও তার নিকটতম আত্মীয়দের অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে সবুজ আলি সুজন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ২০১৪সালে তিনি আমাকে একটি নোট দিয়েছিলেন সেটি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘটনার কিছুদিন পরই ফেরত দেয়া হয়ে এবং পারিবারিকভাবে মিলমোহাব্বত হয়েছে।
এ ঘটনার পর আমার অর্থনৈতিক কোন পরিবর্তন হয়নি। তিনি আরো বলেন মোশারফ ও তার ভাই দুই জনই নেশাখর ও মানসিক রোগী। মোশারফ এ পর্যন্ত সাত/ আটটি বিয়ে করেছে।
তাকে কোন দিনই কোন ধরনের মারপিট করিনি।