সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিলের মাঝে খালের ধারে অনাবাদি পতিত জায়গায় সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন শাহিন আলম নামের এক কৃষক। তার প্রায় ৩ একর সজবি বাগানে শোভা পাচ্ছে শশা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, মিষ্টিকুমড়া,জাতি লাউ,লাল শাক, পুঁই শাক, ডাটা,বেগুন,মরিচ,সিম,বটবটি,করলা সহ নানা জাতের সবজি।
সেখানে উৎপাদিত সবজি পরিবারের চাহিদা মিটায়েও বিক্রি হচ্ছে হাটবাজারে। এতে করে কৃষক বর্ষা মৌসুমে তার অনাবাদি পতিত জায়গায় উৎপাদিত সবজি বাজারে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
কৃষক শাহিন আলম উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের মাকরশোন গ্রামের আলিম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে। আর শাহিন আলমের সজবি বাগান দেখে এলাকার অনেকই এখন উৎসাহিত হচ্ছেন পতিত জায়গায় সবজি বাগান করতে।
কৃষক শাহিন আলম বলেন, আমারদের ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার তাজুল ইসলাম প্রথমে আমাকে বিলের মাঝে খালের ধারে অনাবাদি পতিত জায়গায় সবজি বাগান করতে বলেন এবং বিভিন্ন জাতের সবজি বীজ ও জৈব সার দিয়ে সহযোগীতা করেন।
পরে আমি পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে অনাবাদি পতিত জমি পরিস্কার করে আবাদ যোগ্য করেতুলি। এখন আমি আমার সবজি বাগান থেকে সপ্তাহে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করতে পারছি।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, কৃষক শাহিন আলম কে দেখে এখন একই গ্রাম মাকরশোনের কৃষক আশরাফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম,চরকুশাবাড়ি গ্রামের কমেদ আলী সহ অনেকেই পতিত জমিতে সবজি বাগান করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন৷
এদিকে তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি অফিসার তাজুল ইসলাম বলছেন, চলনবিল অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে পানিতে জমি নিমজ্জিত থাকায় কৃষক ফসল চাষ করতে পারে না।
তাই বিলের মাঝে খালের ধারের অনাবাদি পতিত জায়গায় কৃষক শাহিন আলম কে সবজি বাগান করতে উৎসাহ প্রদান করি। এখন কৃষক সবজি বাগান থেকে ভাল ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা সবজি বাগান করতে কৃষকের উৎসাহ প্রদান করেছি। আমাদের উপসহকারী কৃষি অফিসারগণ সব সময় মাঠে থেকে তাদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বর্ষা মৌসুমে ১৭৫ হেক্টর জমিতে ২৭৮ জন কৃষক সবজি বাগান করে সফলতা লাভ করেছেন।