৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দাউদকান্দিতে দুই বন্ধুর পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ব্যবসায়িক লেনদেনকে  কেন্দ্র করে পাল্টা-পাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে দুই বন্ধু।

বুধবার সকাল ১১ টায় চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে জমি রেজিস্ট্রি অতঃপর চেক ও স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির  প্রতিবাদে উপজেলার গৌরীপুর বাজারের আঙ্গাউড়া নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন এক বন্ধু মো: হানিফ সরকার।

এইদিন বিকেল ৩ টায় উপজেলার গৌরীপুর বাজারের ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজে ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ও চাঁদা দাবির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন অপর বন্ধু ব্যবসায়িক ইকরাম হোসেন। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হানিফ সরকার বলেন, গত দুই বছর পূর্বে ইকরাম হোসেন এর কাছে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা মূল্যে ৩৮ শতাংশ জমি বিক্রি করি। এর মধ্যে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা নগদ পাই, বাকী ১ কোটি ৬৫ লাখা টাকার ২২/১২/২০২৭ সালের মেয়াদ দিয়ে চেক ও স্ট্যাম্প দেয় ইকরাম হোসেন।

এখন আমার টাকা পরিশোধ না করেই চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত নেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দমকি দিচ্ছে। বর্তমানে ইকরাম ও তার লোকদের ভয়ে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

এছাড়াও হানিফ সরকার বিষয়টি প্রতিকারের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ও প্রশাসনের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

অপরদিকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইকরাম হোসেন বলেন, হানিফ সরকার আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলো তার কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়ে সাবকবলা দলিলের মাধ্যমে ৩৮ শতাংশ জমি রেজিস্ট্রি করি। সে জমির বিষয়ে আমার কাছ থেকে কোন টাকা পাওনা নাই।

এখন আমি জমি ভরাট করে কাজ করতে গেলে সে আমার কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে প্রাননাশের হুমকি দেয় এবং আমার নির্মাণ কাজের দেওয়াল ভেঙে ফেলে। পরে আমি আইনের আশ্রয় নিয়ে হানিফ সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর মামলা করি।

তাকে গ্রেপ্তার না করায় অনবরত বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি  হানিফের হুমকি ধামকি থেকে রক্ষা পেতে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।

 সংবাদ সম্মেলনে ইকরাম হোসেনকে চেক ও স্ট্যাম্প দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলো তিনি উত্তরে বলেন, হানিফ সরকার আমাকে ব্যবাসীক কারণে ৭০ লাখ টাকা দিবে  আর আমি চার বছর পর ২০২৭ সালে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দিবো বলে চেক ও স্ট্যাম্প দেই।

কিন্তু সে জালিয়াতি করে চেক ও স্ট্যাম্প নিয়ে আমাকে টাকা না দিয়ে এখন আমার কাছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা দাবী করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এবিষয়ে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ী ইকরাম হোসেনের অভিযোগের ভিত্তিতে হানিফের নামে একটি চাদাবাজি মামলা নেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।